এইদিন বিনোদন ডেস্ক,০৯ ফেব্রুয়ারী : ক্ষুধার জ্বালা কাকে বলে তা বেশ ভালো করেই জানেন বাংলাদেশের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাসার । ক্ষুধা নিবৃত্তির সময় ধর্ম বাধা হয় । তখন শুধু একটাই লক্ষ্য থাকে,আর তা হল জঠরাগ্নিকে শান্ত করা । অর্থাভাবে দিনের পর দিন বাংলাদেশের রমনা কালী মন্দিরে বিনামূল্যে খিচুড়ি ভোগ খেয়ে কাটিয়েছেন তিনি । এমনকি শিখ ধর্মের উপাসনালয় গুরুদুয়ারা নানকশাহীর লঙ্গরখানাতেও অনেকদিন খাবার খেতে হয়েছে তাকে।এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘রমনা কালী মন্দিরেই বেশি খাওয়া হয়েছে। তবে গুরুদুয়ারার খাবারটা বেশ চমৎকার। খাবার শেষে ওখানে মিষ্টি বা দই দেওয়া হয়। খালি পকেটে যা বাড়তি আনন্দ যোগ করে।’
বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের ছোট পর্দার অন্যতম দর্শকপ্রিয় অভিনেতা হলেন খায়রুল বাসার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করে অভিনয়কে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন । টেলিভিশন নাটক, ওয়েব সিরিজে নানা চরিত্রে অভিনয়ে করে নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন এই অভিনেতা।
আপডেট ২৪ কে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে খায়রুল বাসার তার পেশাগত জীবনে অভাবের কারনে রমনা কালী মন্দির ও গুরুদুয়ারায় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিতেন বলে জানানো হয়েছে । বাংলাদেশের ওই সংবাদমাধ্যমে পোস্টের পর বিভিন্ন জন বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন । আজাইরা আলাপ নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন,’কিসের আবেগ খাবার নিয়ে কেও মিথ্যা বলে না । এই সময়ে কে কাকে কয় দিন খাওয়াবে । উনি তো আর চুরি করেনি খাবার খুঁজে খাওয়াতে কোনো লজ্জা নাই । উনি যা করেছেন ভালো করেছেন পেটে যখন ক্ষিধা থাকে তখন ধর্ম কর্ম দিয়ে কি হবে ।’ অভিজিৎ কুন্ডু লিখেছেন,’সত্য কথা বলার জন্য ধন্যবাদ।’
কল্পনার বাহিরে আমি নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ক্ষুধার কষ্টের চেয়ে পৃথিবীতে বড় কোন কষ্ট নেই ঠিক বলছেন ভাই,,,আমি তা প্রতি নিয়তো বুঝতে পারছি ।’ তবে মৌসুম খানের কথায়, ‘ভাওতাবাজি কথা বার্তা ।’ তন্ময় মাহমুদের প্রতিক্রিয়া, ‘এখানেই মনুষ্যত্বের কাছে হেরে গেল ধর্ম।’ পলাশ সরকার এম লিখেছেন, ‘ভাই যাই বলেন আপনি কিন্তু গুনাহ করছেন, তবে সত্য প্রকাশ করার জন্য আপনার প্রতি ভালবাসা বেড়ে গেল।’ আজাদ হোসেন নামে একজন ব্যবহারকারী মনে করছেন, ‘এই গুলো সম্পুর্ন মন গড়া কাহিনী । এরা নাটক করতে করতে সব জায়গাতে নাটক করে, মানুষের মন পেতে চায় ।’।

