এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজশাহী(বাংলাদেশ),০৫ ফেব্রুয়ারী : কোরান পুড়িয়ে হিন্দুদের ফাঁসাতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মহম্মদ ফেরদৌস রহমান ফরিদ (২২) ৷ সে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মহম্মদ মজিবর রহমানের ছেলে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র ওই যুবক । বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ আবাসিক হলে পোড়ানো হয় বেশ কিছু কোরানের কপি । সেই ঘটনায় ওই যুবকের যোগসূত্র থাকার প্রমাণ পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে । মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, সাইবার ক্রাইম ইউনিট ফরিদকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে পালিয়ে যান এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন।
প্রসঙ্গত,গত ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আমির আলী হলের মুক্তমঞ্চ, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখস হল, মতিহার হল, সোহরাওয়ার্দী হল, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক হলের মসজিদের মেঝেতে ও শেলফে পোড়া কোরানের কপি পাওয়া যায়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষুব্ধ হয় । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতিহার থানায় মামলা করে। পুলিশ জানায়, এরপর থানার পাশাপাশি মহানগর পুলিশের সিটিটিসি, সাইবার ক্রাইম ইউনিটের টিম তদন্ত শুরু করে। তদন্তের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থানের সিসিটিভি ভিডিও বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোরান পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মহম্মদ ফেরদৌস রহমান ফরিদের যোগ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।।