প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৪ ফেব্রুয়ারী : উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার ডিগ্রী থাকলেও নেই চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা।বঙ্গে বেকারত্ত্বই হয়ে গিয়েছে শিক্ষিতদের ভবিতব্য।সেই ভবিতব্যকে থিম করে সরস্বতী পুজোর মণ্ডপ তৈরি করে সাড়া ফেলে দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার বাসুদেবপুর পূর্ব পাড়ার সবুজ সংঘ।’সবার উপরে বেকারত্ত্ব- তাহার নিচে ডিগ্রী সত্য’,এই আপ্ত বাক্যকে আঁকড়ে তৈরি হয়েছে পুজোর মণ্ডপ।তাতে শিক্ষার প্রথম পাঠ হিসাবে সহজপাঠ সহ মাধ্যমিক থেকে শুরু করে স্নাতক পর্যন্ত ডিগ্রীর নানা ধাপের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।এই থিমকে শিক্ষিত বেকারদের জীবন যন্ত্রনার প্রকাশ বলে গ্রামের বাসিন্দারা দাবি করেছেন।
স্কুলে পড়ুয়া আছে তো শিক্ষক নেই ,আবার শিক্ষক আছে তো পড়ুয়া নেই বলে বঙ্গের একাধীক স্কুলে পড়েছে তালা।এমন অবস্থার মধ্যেই আবার উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবু শিক্ষকরা নিয়োগ দুর্নীতির যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে পথে বসে গলা ফাটাচ্ছে। বাকি শিক্ষিতদের অবস্থাও তথৈবচ।তাঁরাও বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলছেন। ডিগ্ৰী থাকলেও বেকারত্বই তাঁদের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে।পেট চালাতে ডিগ্রী ধারিদের কেউ চালাচ্ছেন টোটো,আবার কেউ করছেন হকারী।অনেকে আবার পৈত্রিক চাষের জমিকে আঁকড়েই জীবিকা নির্বাহ করছেন সরস্বতী পুজোর থিমে রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের এই ভবিতব্যকেই সুনিপুণ ভাবে তুলে ধরেছেন বাসুদেবপুর সবুজ সংঘের সদস্যরা।
রায়নার নাড়ুগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম বাসুদেবপুর।গ্রামের বাসিন্দাদের কথা অনুযায়ী, বাসুদেবপুর পূর্ব পাড়ার সরস্বতী পুজোর থিমে কোনও কাল্পনিকতা নেই।ওই থিম আসলে হল বঙ্গের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের জীবন যন্ত্রনার বাস্তব প্রকাশ।গ্রামের যে সকল অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের শিক্ষার ডিগ্রী অর্জন করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তাঁদের কাছেও এই থিম বার্তাবহ’ ।
‘
পুজোর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকা পার্বতি দাস , সঞ্জীব দাস ও শুভদীপ দাসরা সোমবার এক সুরেই বলেন,’শিক্ষার ডিগ্রী এখন আর ’ডিগনিটি’ পাচ্ছে না।উল্টে বেকারত্ত্বই এখন উচ্চতায় বিরাজ করছে। এই বাস্তবতাটাই আমরা গ্রামের সরস্বতী পুজোর থিম ভাবনায় তুলে ধরেছি’ । এদিক প্রত্যন্ত গ্রামের যুবকদের এই বোধদয় দেখে বোরোধীরা অবশ্য বেজায় উৎফুল্ল।মুখে কিছু না বললেও ২৬ শের ভোটে বেকারত্ত্বকে ইশু করলে কতটা কি লাভ বা লোকসান হবে তা নিয়ে হিসেব-নিকেশ কষা শুরু করে দিয়েছেন।।