এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৪ ফেব্রুয়ারী : সরস্বতী পূজোর প্রস্তুতি নেওয়ার অপরাধে নদীয়া জেলার হরিণঘাটা দাসপোল ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাশীরাম বর্মনকে বদলির হুমকি দিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন মন্ডলকে । সে মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে হুমকি দিয়ে বলেছিল,’মোদী সরকার পেয়েছেন ? কালি ভরে দেবো আপনাকে ।’ সেই সাথে সে শিক্ষককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকিও দেখিয়েছিল । অবশেষে সোমবার হরিণঘাটা দাসপোল ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজো হল কঠোর পুলিশি নিরাপত্তায় । শিশুদের মায়েরা প্রচুর সংখ্যায় স্কুলে উপস্থিত হন । তবে তাদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । কারন স্কুলের গেট লাগানো ছিল । তাদের পাশাপাশি অন্য স্কুলের পড়ুয়ারা অঞ্জলি দিতে না পারায় মহিলারা আক্ষেপ করেন। তবে পরিশেষে পূজো হওয়ায় খুশি প্রকাশ করেন তারা । স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের উলু ও শঙ্খ ধ্বনিতে মুখোরিত হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর । এই ঘটনাকে ‘একতাই শক্তি’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷
তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন মন্ডলের হুমকি ও স্কুলে সরস্বতী পূজোর সময় পড়ুয়া ও অবিভাবকদের আনন্দের মুহুর্তে ভিডিও পোস্ট করে এক্স-এ লিখেছেন,’নদীয়ার হরিণঘাটার অন্তর্গত নগরউখড়া দাসপোলডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা যাবে না বলে হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন মণ্ডল।এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে জোট বাঁধতেই উবে গেলো সব হুমকি ধমকি চোখ রাঙানি। কচিকাঁচা পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা উপস্থিত হন। নির্বিঘ্নেই পুজো হয়েছে আর পাঁচটা স্কুলে যেমন পুজো হয়ে থাকে তেমন ভাবেই। হরিণঘাটার নগরউখড়া এলাকার এই ঘটনা প্রমাণ করে যে একতাই শক্তি। এক থাকলে সুরক্ষিত থাকবো আর বিভাজিত হলে রক্ষা নেই।’ ভিডিও এর শেষের দিকে ব্যাকগ্রাউন্ডে জনপ্রিয় লোকগীতি “ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না” সংযুক্তও করেছেন ।
অন্য একটা পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘শাব্বির আলি এবং আলিমুদ্দিন মণ্ডলের মতো টিএমসি-এর উগ্রবাদী উপাদানগুলির জন্য ধন্যবাদ, হিন্দুরা অবশেষে জাগ্রত হচ্ছে, একতা ও ভ্রাতৃত্বের অভাবের কারণে সম্প্রদায় যে হুমকির শিকার হচ্ছে তা বুঝতে পেরে। প্রথমবারের মতো, খেজুরি মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত) আজ শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্কুলটি আমার জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি-২ নম্বর ব্লকে অবস্থিত । স্কুলের ১৪০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম মা সরস্বতীর পূজা ও পূজা অর্চনা করা হচ্ছে এবং পুস্পাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে। জাগো হিন্দু জাগো ।’।