এইদিন ওয়েবডেস্ক,ফারাক্কা,০১ ফেব্রুয়ারী : স্কুলের একাডেমিক কাউন্সিলের রুটিন নিয়ে মিটিং চলাকালীন বাকবিতণ্ডার মাঝে প্রধান শিক্ষককে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠল সহ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে । শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলে । প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামকে ব্যাপক পিটিয়ে একটা পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, মারাত্মক আঘাত লেগেছে তার ডান চোখেও । বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম । এই ঘটনায় সহকারী শিক্ষক তারিফ হোসেনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে আক্রান্ত প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী জানিয়েছেন,স্বামীর চিকিৎসায় তিনি ব্যস্ত থাকায় এনিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি৷ কিন্তু আজ শনিবার করবেন । যদিও আজ দুপুর পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেই জানিয়েছেন ফারাক্কা থানার আইসি। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারিফ হোসেন ।
জানা গেছে,সম্প্রতি স্কুলের একাডেমিক কাউন্সিলের রুটিন তৈরি করে দেয় । প্রধান শিক্ষক সেটি অনুমোদন করে দেন । পরিচালন কমিটিও যথারীতি সেই রুটিন প্রকাশিত করে । কিন্তু সেই রুটিন পছন্দ হয়নি সহকারী শিক্ষক তারিফ হোসেনসহ আরও কয়েকজন শিক্ষকের । তারিফ হোসেনদের বক্তব্য যে অতীতেও কখনো রুটিন প্রধান শিক্ষককে দিয়ে অনুমোদন করা হয়নি । এখন কেন হবে? এদিকে সহশিক্ষকদের আপত্তির কারণে প্রধান শিক্ষক সেই রুটিন বাতিল করে দিয়ে পুরনো ‘রুটিন কার্যকর থাকবে’ বলে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন । কিন্তু তারপরেও প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে সহকারী শিক্ষক তারিফ হোসেনদের ঝামেলা মেটেনি ।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে স্কুলের রুটিন নিয়ে ফের এক দফা বৈঠক হয় স্কুলে৷ বৈঠকের মাঝে প্রধান শিক্ষক ও বিবাদমান সহকারি শিক্ষকদের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয় । অস্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও চলে বলে অভিযোগ । বাকবিতণ্ডা থেকে ক্রমে হাতাহাতিতে পরিণত হয় । সেই সময় বেদম মার খেয়ে যান প্রধান শিক্ষক । স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অরুণময় দাস বলেন,’এই ঝামেলাটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় । প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহশিক্ষকদের একাংশের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে । আমি বেশ কয়েকবার বসেছি তাদের সঙ্গে । ৪-৫ ঘন্টা ধরে ম্যারাথন মিটিং করেছি । কিন্তু কেউ শুনছে না । সবাই নিজের অবস্থানে অনড় । ফলে এই লড়াই চলছে ।’ তিনি আক্ষেপের সঙ্গে বলেন,’আমি আর পারছি না । মনে হচ্ছে এই পদে আমি আর যোগ্য নই । আমি এবার অব্যাহতি চাই ।’।