প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৭ জুলাই : বাবার মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পরেই বহুতল হাসপাতাল বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল ছেলে। মৃত নাম অশোক রুইদাস (২২)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার তোড়কনা গ্রামে । সে ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষে ছাত্র ছিল । অশোকের আকস্মিক এই মৃত্যুর ঘটনায় স্তম্ভিত পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা ।
মৃতর দাদা অলোক রুইদাস জানিয়েছেন,তাঁর বাবা কার্তিক রুইদাস (৫০)) সম্প্রতি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন । চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথম বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । কিন্তু কার্তিকবাবু সুস্থ হননি । শারীরিক অবস্থার আরও অবনতী হওয়ায় আট দিন আগে পরিবারের লোকজন কার্তিক বাবুকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে । সোমবার বিকাল ৫ টা নাগাদ দুর্গাপুরের হাসপাতালেই কার্তিক রুইদাসের মৃত্যু হয়।
অলোক রুইদাস বলেন, বাবার মৃত্যু সংবাদ তাঁর ভাই অশোক-ই তাঁকে জানায়। মা ভেঙে পড়বে বলে তাঁরা তাঁদের মাকে বাবার মৃত্যু সংবাদ জানায়নি।তারই মধ্যে ওই দিন রাত সাড়ে নটা নাগাদ অশোক হঠাৎতই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর বেশ কিছু সময় বাদ অশোক তাঁর দাদার ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে জানায় “বাবার মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী”।মেসেজ আসার আধঘন্টা পর আলোক দেখেন তাঁর ভাই অশোক হাসপাতলের ৫ তলা বিল্ডিংয় থেকে নিচে ঝাঁপ দিয়েছে। অশোককে উদ্ধার করে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দাদা অলোক রুইদাস বলেন, ,“ইংরেজি অনার্স নিয়ে পড়াশুনা শেষ করে তাঁর ভাই অশোকের ব্যাঙ্গালোরে পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। ওর সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না ।’
খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি শ্যামল দত্ত বলেন, সোমবার বিকেলে বাবার মারা যাওয়ার পর রাতে ওই হাসপাতালের পাঁচ তলা বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে ছোট ছেলে অশোক রুইদাস আত্মঘাতী হয়। দুর্গাপুরের বিধাননগর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।এদিন ময়নাতদন্তের পর বাবা ছেলের মৃতদেহ এক সাথে তোড়কনার বাড়িতে আসে ।।