সংকল্প দে,বীরভূম,২০ জানুয়ারী : মহান বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাই সনাতনী গ্রন্থ শ্রীমদভগবদগীতাকে শুধুমাত্র ধর্মীয় শাস্ত্র বলে মনে করতেন না । ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ নিসৃত যেমস্ত বাণী শ্রীমদভগবদগীতায় উল্লেখ করা হয়েছে, তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি । বিক্রম সারাভাই দীর্ঘকাল ধরে প্রাচীন সনাতনী শাস্ত্রের জ্ঞানের সাথে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির সংমিশ্রণের পক্ষে ছিলেন । নিয়মিত শ্রীমদভগবদগীতা সহ প্রাচীন সনাতনী গ্রন্থ অধ্যয়ন করে গেছেন আমৃত্যু । তাঁর দেখাদেখি আরও এক মহান বিজ্ঞানী ডঃ আব্দুল কালামও ভগবদ্গীতা, রামায়ণ, মহাভারত এবং অন্যান্য প্রাচীন গ্রন্থের শিক্ষাগুলিকে অধ্যয়ন করেছিলেন। এই আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানগুলি জীবন এবং বিজ্ঞানের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল । আমৃত্যু নিরামিষ খাবার খেতেন তিনি । শুধু তাইই নয়,গুজরাটের আহমেদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে শ্রীমদভগবদগীতার কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । বিশ্বজুড়ে শ্রীমদভগবদগীতার জোর চর্চা হতে শুরু হয়েছে । এতদিনে ভারতীয়রাও শ্রীমদভগবদগীতার প্রতি নতুন করে আগ্রহ দেখাচ্ছে । স্কুল,সার্বজনীন বা ব্যক্তিগত স্তরে আয়োজন করা হচ্ছে গীতাপাঠের আসর ।
সেজন্য পুঁথিগত বিদ্যার জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি শ্রীমদভগবদগীতার গুঢ় তত্ত্ব উপলব্ধির করাতে বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত দক্ষিণ গ্রাম নিমতলা আশ্রমের উদ্যোগে গীতা চর্চার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে । আজ সোমবার শুরু হলো গীতা চর্চার পাঠশালা। যেখানে সপ্তাহে একদিন করে স্থানীয় কচিকাঁচা পড়ুয়াদের দেওয়া হবে গীতার পাঠদান। বীরভূমের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আত্মার আত্মীয়র পক্ষ থেকে এই পাঠ দান করা হবে গীতা পাঠশালায়, যেখানে স্থানীয় বাচ্চারা এসে গীতা পাঠ করতে পারবে। আজ বৈকাল চারটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে সেখানে শুরু হল এই বিশেষ পাঠশালা। উদ্বোধনীর দিনেই দক্ষিণ গ্রামের কয়েকশো মানুষ এসে গীতাপাঠ করেন । উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে এই পাঠশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রচুর মহিলাও ।।