এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২০ জানুয়ারী : যে নৃশংস বর্বরোচিত ধর্ষণ-হত্যার ঘটনায় গোটা বিশ্ব তোলপাড় হয়ে উঠেছিল, একমাত্র ধৃত আসামি সঞ্জয় রায়কে ফার্স্ট ট্রাক কোর্টে ফাঁসির সাজা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল, কিন্তু তার ফাঁসির সাজা দিল না আদালত । আজ সোমবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস ওই নৃশংস ঘাতকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন । তুমুল হট্টগোলের মধ্যে আদালতের ২১০ নম্বর কক্ষে প্রায় ৩২ মিনিট ধরে সিবিআই, নির্যাতিতার পরিবার এবং সঞ্জয়ের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব শেষে দুপুর ২:৪৫ মিনিটে রায় ঘোষণা করেন বিচারক ।
বিচারক আরজি কর ধর্ষণ-খুনের ঘটনাকে , ‘রেয়ারেস্ট অফ দ্য রেয়ার’ বা বিরলতম অপরাধ হিসাবে মনে করেননি । কারন হিসাবে বিচারক জানিয়েছেন,আসামির বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ প্রমাণ উদ্ধার করতে পারেনি সিবিআই । ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ছেঁড়া ব্লুটুথ ইয়ারফোন, সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া তার গতিবিধি, পোশাকে রক্তের দাগের মতো ১১টি পারিপার্শ্বিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করে চার্জগঠন হয় এবং তার ভিত্তিতেই তিনি এই রায়দান করেছেন । ফলে ফের একবার সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া ও তদন্তকারী আধিকারিকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল । পাশাপাশি উঠছে আদালতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন । এই রায় ঘোষণার পর ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত তুলোধুনো করছেন নেটিজেনরা। ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকেই কাঠগড়ায় তুলছেন তারা । সরিতা চৌবে নামে এক ব্যবহারকারী এক্স-এ লিখেছেন, ‘কলকাতায় চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ড নেই। কারাগারে আজীবন বিনামূল্যের খাবার উপভোগ করবেন সঞ্জয় রায়। বিচার বিভাগ কি তামাশা হয়ে যাচ্ছে ? আরজি কর মেডিকেল কলেজের একজন তরুণ ডাক্তারকে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়রয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের চেয়েও বেশি বিচার দাবি করেছে ৷’
ডিআর আটির্স্টিক সোল লিখেছেন,’ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা অনুযায়ী বিচার প্রদান করা হয়। কারোর জীবন শেষ হয়ে গেল । কারোর নির্বিঘ্নে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে গেল ।’।