এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১৬ জানুয়ারী : গোমাংস না রাঁধায় হিন্দু নিরামিষ হোটেল বন্ধ করে দিল বাংলাদেশের মুসলমানরা। বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার মালিবাগ এলাকায় “গোবিন্দ’স কিচেন’ নামে ওই হোটেলে স্থানীয় ইসলামি কট্টরপন্থীরা বুধবার সকালে হামলা চালায় । সেই দলে কয়েকজন ইসলামি কথিত সাংবাদিকও ছিল । হোটেলে গরুর মাংস না থাকার কারণে হোটেলের ক্যাশিয়ার ও কর্মরত কর্মচারীদের সাংবাদিকরা প্রশ্নও করে । মূলত ইসলামি সাংবাদিকদের ইন্ধনে তাদের সঙ্গে আসা মুসলিম জনতা হোটেলে ভাঙচুর চালিয়ে সাটার নামিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যায় ।
জানা গেছে, ঢাকার মালিবাগ এলাকার “গোবিন্দ’স কিচেন’ মূলত একটা নিরামিষ হোটেল । কাজল চন্দ্র দাস নামে একজন বাংলাদেশি হিন্দু বলেছেন,’নিরামিষ হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হলো। আমরা তো অনেকেই মাছ, মাংস খাইনা। এই হোটেলগুলো আমাদের ছিল জীবন, এখানে তো শুধু হিন্দুরা খায় না মুসলিমরা খায় যারা মধ্যবিত্ত যারা দুই বেলা ভাত খেতে কষ্ট হয় তারা এখানে আসে, অল্প খরচের মধ্যে পেট ভরে খেতে পারে ।’
তিনি এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এ দেশটা চলছে মগের মূল্যের মতন দেশে এখন কোন আইন নেই কি বিচার নেই। আছে শুধু গাজোয়ারি । সংখ্যালঘুদের কথা শোনার মতন কেউ নেই বুদ্ধিজীবীরাও নেই।একাত্তরে আমরা এই পাক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি । ত্রিশ লক্ষ শহীদ দুই লক্ষ মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই স্বাধীনতা । ২০২৪-এর বৈষম বিরোধী যে আন্দোলন হয়েছিল তাতেও আমরা সামিল হয়েছিলাম এই কারনে যে আমরা নতুনভাবে বাঁচতে পারব । কিন্তু আমরাও বৈষম্যর শিকার । এখন আগেও বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখন তার থেকে বেশি বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছি কিছু মৌলবাদীদের উগ্রপন্থীদের জন্য। যারা বিভিন্ন মঞ্চে উঠে বলেন সবার পাশে আমরা দাঁড়িয়ে থাকি কিন্তু মঞ্চের বাইরে গিয়ে তারা অন্য কথা বলে । গোপনে সংখ্যালঘুদেরকে দেশ থেকে তাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা করে। আচ্ছা সংখ্যালঘুরা যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য এই ইউনূস সরকারের কাছে চাইছে এগুলো কি অবাস্তব ? তাহলে কেন আমরা বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকবো ? এর জবাব কি ইউনূস সরকার দেবে ?’