অবিনয়মাপনায় বিষ্ণো
দমায় মনঃ শময় বিষমৃগতমঃ।
ভূতদায়ং বিস্তারায়
তারয়া সংসারসাগরতঃ ॥১ ॥
অর্থ : হে ভগবান বিষ্ণু! (আমার) অশালীনতা দূর কর, (আমার) মনকে প্রশমিত কর এবং পার্থিব আনন্দের বস্তুর মরীচিকা দূর কর। সমস্ত প্রাণীর জন্য (আমার মধ্যে) করুণা ছড়িয়ে দিন। আমাকে পার্থিব অস্তিত্বের সাগর পাড়ি দাও (তীরে, যেমন মোক্ষ)
দিব্যধুনিমাকরন্দে পরিমঃ পরিভোগসচ্চিদানন্দে।
শ্রীপতিপদরাবিন্দে ভবভয়খেদাচ্চিদে বন্দে ॥ ২৷
অর্থ : আমি বিশিউ (লক্ষ্মীর ভগবান) পাদপদ্মে প্রণাম করি যার মধ্যে স্বর্গীয় গঙ্গা হল পরাগ (বা মধু), যা তাদের সুগন্ধ উপভোগ করতে পারে এবং ‘সত’, ‘সিট’ এবং ‘আনন্দ’ হিসাবে দাঁড়ায়। (সত্য ব্রহ্ম হিসাবে) এবং যা এই পৃথিবীতে জন্মের ভয় ও যন্ত্রণাকে কেটে দেয়।
সত্যপি ভেদাপাগমে নাথ
তভা’হং না মামাকিনাস্ত্বম্।
সমুদ্রো হি তারাঙ্গঃ
কবচনা সমুদ্রো না তরঙ্গঃ ॥৩
অর্থ : হে ! রক্ষক ! এমনকি (তোমার আর আমার মধ্যে) পার্থক্য কেটে গেলেও আমি তোমার হয়ে যাই কিন্তু তুমি আমার হও না। প্রকৃতপক্ষে (যদিও তরঙ্গ এবং মহাসাগরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই) তরঙ্গ সমুদ্রের অন্তর্গত কিন্তু কোথাও (কখনও নয়) সমুদ্র তরঙ্গের অন্তর্গত নয়।
উদ্বৃতনাগ নাগভিদানুজ
দনুজকুলমিত্র মিত্রাশশিদৃষ্ঠে।
দ্রস্তে ভবতি প্রভাবতী
না ভবতি কিং ভবতিরস্করঃ ॥ ৪৷
অর্থ : হে ভগবান যিনি পর্বতকে ধারণ করেছিলেন এবং যিনি পর্বত ভাঙার (ইন্দ্র) কনিষ্ঠ ভাই! হে ভগবান যারা রাক্ষস জাতির শত্রু এবং যাদের আপনার চোখ সূর্য ও চন্দ্র রয়েছে! আপনি, পরাক্রমশালী প্রভু, যখন দেখা যায়, তখন কি জন্মের (সংসার অপসারণ) ঘটে না?
মতস্যাদিভিরবতারাইরাবতারাবতা
সদা বাসুধাম।
পরমেশ্বর পরিপালিয়ো
ভবতা ভবতাপভিতোহম্ ॥ ৫৷
অর্থ : হে পরমেশ্বর! জন্মজনিত কষ্টে আমি ভীত (সংসার)। আমি তোমার দ্বারা সংরক্ষিত হওয়ার উপযুক্ত (আমাকে অবশ্যই হতে হবে) যিনি মাছ প্রভৃতি অবতাররূপে অবতীর্ণ হয়ে সর্বদা বিশ্বকে রক্ষা করেন।
দামোদর গুনামন্দির
সুন্দরবদানারবিন্দ গোবিন্দ।
ভবজলধিমথনমন্দর পরমং
দর্মপনয় ত্বং মে ॥৬৷
অর্থ : তোমার পেটে বাঁধা দড়ি দিয়ে হে প্রভু! হে সকল শুভ গুণের আবাস! হে পদ্মমুখের মোহনীয় প্রভু! হে গোবিন্দ! ওহ ভগবান যিনি সংসার সমুদ্র মন্থনের ক্ষেত্রে মন্দার পর্বত! দয়া করে আমার বড় ভয় দূর করুন।
নারায়ণ করুণাময় শরণা
করভাণি তাবকৌ চরণৌ।
ইতি ষটপদী মাদিয়ে
বদনাসরোজে সদা বাসতু ॥ ৭
অর্থ : ছয়টি শব্দের সংমিশ্রণ (মধু-মৌমাছি) আমার পদ্ম-মুখে চিরকাল বিরাজ করুক। (এই প্রার্থনা- ”হে নারায়ণ! হে করুণাময়! তোমার দুই চরণে আমার আশ্রয় দান করুন”।
।। ইতি শ্রীমচ্ছাঙ্করাচার্য বিরাচিতঃ শ্রী বিষ্ণু ষষ্ঠপদী স্তত্রং সম্পূর্নম ।।