এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১২ জানুয়ারী : মালদার রতুয়ায় জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি এবং তাঁর ছেলে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রিয়াজুল করিম বক্সির স্কুল ‘নর্থ মালদা শিক্ষা নিকেতন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত বৃহস্পতিবার রাতে সঙ্গীত অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় র্যাপের স্টাইলে । যা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওই দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগে রাজ্য জুড়ে এফআইআর রজু করার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন । এবারে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘দেশদ্রোহি’ আখ্যা দিলেন । তার কথায়, ‘দেশদ্রোহিতা এবং তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত সমার্থক’ ।
আসলে,আব্দুর রহিম বক্সি ও রিয়াজুল করিম বক্সির উদ্যোগে গত ৪ জানুয়ারী থেকে ৯ জানুয়ারী পর্যন্ত “আমার মেলা ২০২৫”-এর আয়োজন করা হয়েছিল । মেলাটি পরিচালনায় ছিল তৃণমূল নেতা পিতা-পুত্রের স্কুল ‘নর্থ মালদা শিক্ষা নিকেতন‘ । রতুয়া থানার পার্শ্ববর্তী মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল ‘নর্থ মালদা রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’ । কিন্তু অভিযোগ যে রতুয়া থানার নাকের ডগাতেই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের র্যাপ সংস্করণ গাওয়া হয় আব্দুর রহিম বক্সিদের স্কুলের সঙ্গীত অনুষ্ঠানে।
সুকান্ত মজুমদার সেই বিতর্কিত গান ও মেলার পোস্টার শেয়ার করে লিখেছেন,’দেশদ্রোহিতা এবং তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত সমার্থক হয়ে উঠেছে, কারণ তাদের কর্মগুলি বারবার প্রমাণ করেছে। দেশের অভ্যন্তরে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ ইন্ডিয়া) এর কঠোর সমালোচনা করা থেকে শুরু করে অসংখ্য দেশবিরোধী মন্তব্য করা, দলের প্রধান সদস্যরা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা আধিকারিক দ্বারা পরিচালিত, একটি উদ্বেগজনক প্যাটার্ন প্রকাশ করেছে। এই আচরণ ইঙ্গিত দেয় যে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল ইউনূসের সমর্থক এবং একটি “বৃহত্তর বাংলাদেশের” এজেন্ডা হিসাবে কাজ করছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী এবং তার ছেলে রিয়াজুল করিম বক্সীর দ্বারা আয়োজিত মালদার রতুয়ার একটি মেলায় সাম্প্রতিক ঘটনা, যেখানে ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীতকে চরমভাবে অসম্মান করা হয়েছিল, তা নিন্দনীয়। জাতীয় সঙ্গীত প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের চেতনা এবং গর্বকে মূর্ত করে। তৃণমূলের উদ্যোগে একটি প্রকাশ্য মঞ্চে এই ধরনের নির্লজ্জ অপমান, অবিলম্বে এবং জোরালো জনরোষ দাবি করে৷ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস জাতির জন্য কলঙ্কজনক৷ লজ্জা!’