এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ, ১১ জানুয়ারী : খুন,ধর্ষণ, লুটপাট,জমিজায়গা জবরদখল ও ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করা…. সংখ্যাগুরু মুসলিমদের নিদারুন নিপিড়নের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের হিন্দুরা । তারই মাঝে ধর্ম পরিবর্তনে উৎসাহিত করার জন্য ইসলামের প্রচারের নামে হিন্দুদের চরম উৎপাত শুরু করেছে মুসলিমরা । মুসলিমদের উৎপাতের এমনই নজির দেখতে পাওয়া গেল বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার রমনা কালী মন্দিরের সামনে । আসলে,বৃহস্পতিবার রাতে রমনা কালী মন্দির বিশেষ পূজানুষ্ঠান ছিল । গোটা মন্দির আলোকশয্যায় সাজিয়ে তোলা হয় । প্রচুর শ্রদ্ধালুর আগমন হয় মন্দিরে । সেই সময় মন্দিরের বিপরীতে রাস্তার পাশে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে জোড়া মাইক লাগিয়ে জোরে জোরে ইসলামিক সংগীত বাজানো হচ্ছিল ।
সেই ঘটনাটি ফেসবুক লাইভে এসে বর্ণনা করেছেন আকাশ চক্রবর্তী নির্ঝর নামে একজন শ্রদ্ধালু । ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গেছে, এই মাইক থেকে আসলে কি বাজছে আমি নিজেও একটু কনফিউজড ছিলাম৷ কারন আমি তো এসেছি রমনা কালী মন্দিরে । এখানে বড়সড়ো অনুষ্ঠান হচ্ছে সেটা আপনারা আলোকসজ্জা দেখে বুঝতে পারছেন । কিন্তু এই মাইকের ভাষা আমার ঠিক বোধগম্য হলো না। কিছুক্ষণ বোঝার চেষ্টা করলাম যে সনাতন ধর্মীয় কিছু বাজছে কিনা । পরে দেখলাম না, এখানে ইসলাম ধর্মীয় কিছু বাজছে ।’ তিনি বলেন, আমার সরল মনে একটা প্রশ্ন হল এই মাইকগুলো মন্দিরের পাশে কেন ? এইখানে কেনো এই মাইকটা লাগাতে হলো আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না । কারণ এটা তো মন্দির এরিয়া, আমি আশেপাশে তো কোন মসজিদ দেখতে পাচ্ছি না । আমি কোন মাহফিলও দেখতে পাচ্ছি না । তাহলে এই মাইক কোথা থেকে এল? ইসলাম ধর্মীয় শব্দ কেন আসছে, কাড়া লাগালো কেন লাগালো আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না৷ আমি লাইভে এসেছি কারণ পরে হয়তো বলতে বাড়ি যে এটা এডিট করা ভিডিও ।’
ভিডিওটি এক্স-এ শেয়ার করেছে ভয়েস অফ বাংলাদেশী হিন্দাস । সেখানে প্রতিক্রিয়ায় লেখা হয়েছে, ‘ঢাকার রমনা কালী মন্দিরে চলছে ধর্মীয় কার্যক্রম। তাই ফ্যাসিবাদী ইউনূস ও তার জামাত অনুসারীরা কোরান শরীফ তেলাওয়াতের জন্য মন্দিরের সামনে লাউডস্পিকার বসিয়েছে। ইউনূস ও তার জামাত জঙ্গিরা সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও ইউনূসের বর্বরতার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই।’।