এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৫ জুলাই : কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদিত সংস্থার মাধ্যমে হাতের কাজ শিখিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে মহিলাদের আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করল কাটোয়া থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম,কামাল হোসেন শেখ, শম্পা বিশ্বাস,ও মৌসুমি ঘোষ । ধৃতদের মধ্যে দুই মহিলার বাড়ি কাটোয়া শহর এলাকায় । কামাল হোসেন শেখ কালনা থানা এলাকার বাসিন্দা । শনিবার গ্রেফতারের পর রবিবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয় । কামাল হোসেন শেখকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত ও বাকি দুই মহিলাকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ।
জানা গেছে, কাটোয়া শহরের সুবোধ স্মৃতি রোড এলাকার একটি মার্কেট কমপ্লেক্সে ঘরভাড়া নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে একটি অফিস খুলে রেখেছিলেন কামাল হোসেন শেখ । অফিসের সামনে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন ভারত সরকারের বাণিজ্য এবং উদ্যোগ মন্ত্রালয়ের অধীনে ফুটওয়্যার ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট লেখা একটি ব্যানার । ব্যানারে ব্যাবহার করা হয়েছে অশোক স্তম্ভ লোগো । এছাড়া ‘কৌশল বিকাশ কেন্দ্র’ লেখা আছে ওই ব্যানারটিতে । ওই ব্যক্তি নিজেকে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থার লোক বলে পরিচয় দিয়ে কাজ করতেন বলে অভিযোগ । স্থানীয় ওই দুই মহিলাকেও কাজে নিয়োগ করেছিলেন কালনার ওই ব্যক্তি ।
অভিযোগ,ওই মহিলারাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাতে যেতেন । এলাকার মহিলাদের সেলাইয়ের কাজ, ধুপকাঠি তৈরিসহ বিভিন্ন হাতের কাজ শিখিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত । মূলত দরিদ্র ঘরের গৃহবধুদেরই টার্গেট করা হত । এভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক হাজারের অধিক দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূদের কাছ থেকে এক হাজার থেকে ২৩০০ টাকা পর্যন্ত তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ ।
কিন্তু টাকা দেওয়ার পর ৮-৯ মাস ধরে হাতের কাজ শেখানোর কোনও উৎসাহ নেই দেখে ওই মহিলারা টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিতে থাকেন । কিন্তু এযাবৎ তাঁরা টাকা ফেরত পাননি । শেষে শনিবার দুপুরে সুবোধ স্মৃতি রোডে কামাল হোসেন শেখের অফিসে জড়ো হন শতাধিক ক্ষিপ্ত মহিলা । মহিলা টাকা ফেরতের দাবি জানান । কিন্তু তাঁদের টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করা হলে মহিলার দলবেঁধে কাটোয়া থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন । মহিলাদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে কামাল হোসেন শেখও তাঁর অফিসের দুই মহিলাকে আটক করে পুলিশ । পরে গ্রেফতার করা হয় । এদিন ধৃতদের আদালতে তোলা হয় ।।