এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুর্শিদাবাদ,০৬ জানুয়ারী : বাংলাদেশে কট্টর ইসলামি মৌলবাদী দলগুলি শাসন ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর থেকেই বিভিন্ন কুখ্যাত ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির তৎপরতা ব্যাপক বেড়ে গেছে । রাষ্ট্রের প্রচ্ছন্ন মদতে তারা ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাড়াতে আসরে নেমে পড়েছে । সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে ভারতীয় গোয়েন্দাদের তৎপরতা বেড়েছে । পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে । আর তার সিংহভাগই ধরা পড়েছে মুসলিম অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় । সেই সমস্ত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ(জেএমবি) সন্ত্রাসী তারিকুল ইসলাম সমন্বয় করে চলছিল বলে গোয়েন্দারা জানতে পারে । বর্তমানে সে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি । জেলে বসেই সে আনসারুল্লা বাংলা টিমের(এবিটি) দুই সন্ত্রাসবাদী মিনারুল ও আব্বাস আলিদের নির্দেশ দিচ্ছিল । রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টার্স্ক ফোর্স (এসটিএফ) জেলে গিয়ে তাকে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদও করছে । এবারে আসাম পুলিশের এসটিএফ তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে বলে খবর । আজ আসাম পুলিশের একটা দল ইতিমধ্যেই এরাজ্যে চলে এসেছেন । জানা গেছে,ওই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীকে মিনারুল ও আব্বাস আলিদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে আসাম পুলিশের এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পায় যে নাশকতা চালাতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি ভারতে ঢুকেছে । এরপরই ‘অপারেশন প্রঘাত’ শুরু করে আসাম পুলিশ । মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে প্রথমে গ্রেফতার হয় আনসারুল্লা বাংলা টিমের দুই সন্ত্রাসবাদী মিনারুল শেখ ও আব্বাস আলিকে । তাদের মধ্যে আব্বাস মাদ্রাসার আড়ালে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল । এরপর নওদা থেকে গ্রেফতার করা হয় সাজিবুল ইসলাম ও মোস্তাকিম শেখ নামে আরও দুই সন্ত্রাসীকে । মিনারুল শেখ ও আব্বাস আলিকে জেরায় জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছিল জেলবন্দি তারিকুলের নাম । পুলিশ জানতে পেরেছে যে ভারতে নাশকতা চালানোর জন্য জেএমবির একাধিক সদস্য এবিটিতে নাম লিখিয়েছে। সেই উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদী পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গেড়ে সন্ত্রাসী মডিউল গড়ছিল। ওই সন্ত্রাসবাদীরা ঠিক কি ধরনের পরিকল্পনা করেছিল এবং তাদের দলে আর কতজন এদেশে সক্রিয় আছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারীরা ।।