এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ ডিসেম্বর : পশ্চিমবঙ্গের ‘উন্মুক্ত সীমান্ত’ দিয়ে দেদার ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশকারী এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ভোটব্যাংক বাড়াতে তাদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এবারে ৩ অনুপ্রবেশকারী মুসলিমের ছবি,নাম ও ঠিকানা প্রকাশ্যে এনে অবিলম্বে রাজ্যে এনআরসি লাগু করার জন্য কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা । শুভেন্দু অধিকারী যে তিন অনুপ্রবেশকারীদের নাম করেছেন তাদের মধ্যে ‘ওবায়দুল হুজুর’ নদীয়ার শান্তিপুরে,রাজু মন্ডল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বজবজে এবং এসকে নুরু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দেশপ্রাণ ব্লকের চান্দিভেটিতে বসবাস করছে ।তাদের মধ্যে শেখ নুরু হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলে দেখা গেছে ।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিকদের ভারতে ধরা পড়ছে বলে আমি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি । এই লোকেরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যারা আমাদের দেশে জাল কাগজপত্র এবং মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অবস্থান করছে। আমি এমন তিন ব্যক্তির বিবরণ তালিকাভুক্ত করছি, যারা মিথ্যা অজুহাতে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিক। আমি গৃহমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে চাই এনআইএ বা আপনার উপযুক্ত মনে হলে উপযুক্ত কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করার জন্য এবং যদি অভিযোগগুলি সত্য বলে প্রমাণিত হয় তবে এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করুন:-
ক) ওবায়দুল হুজুর, যিনি বাংলাদেশের খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা;বেশ কিছুদিন ধরেই নদীয়া জেলায় শান্তিপুরে থেকেছে । তিনি একটি ধর্মান্ধ ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন অর্গানাইজেশন’-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।
খ) রাজু মন্ডল; বাংলাদেশের যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলাযর খুরসেদ মন্ডলের ছেলে । সে তার পরিবারের সাথে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বজবজে থাকে । তিনি পাসপোর্ট এবং আধার কার্ডের মতো ভারতীয় নথি পাওয়ার মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের সুবিধা দেওয়ার সাথে জড়িত।
গ) এসকে নুরু, একজন বাংলাদেশী নাগরিক পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দেশপ্রাণ ব্লকের চান্দিভেটিতে অবস্থান করছেন । সে সব ধরনের অবৈধ ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।
তিনি লিখেছেন,পশ্চিমবঙ্গ এই ধরনের অবৈধ অভিবাসীদের কেন্দ্রস্থল, যারা সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশের সহায়তায় সাধারণ জনগণের সাথে মিশতে সক্ষম হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পুলিশের অনীহা দেখে উৎসাহিত হয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তাদের নির্বাচনী সম্পদ হিসাবে বিবেচনা করে যা তাদের আইনি দায়মুক্তি পেতে সহায়তা করে। এই অনুপ্রবেশকারীদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি কার্যকর করার উপযুক্ত সময় এসেছে যারা পরজীবীর মতো আমাদের সম্পদ ভাগ করে নিচ্ছে এবং ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তার হুমকি হয়ে উঠেছে ।’।