এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুয়াহাটি,২৮ ডিসেম্বর : বাংলাদেশ ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আরও এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) । শুক্রবার ধুবরি জেলার বিলাসিপাড়া এলাকার ৩৬ বছর বয়সী শাহিনুর ইসলাম নামে ওই সন্ত্রাসবাদীকে পাকড়াও করা হয় । আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এখনো পর্যন্ত আসাম, পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরালা মিলে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও আল কায়দা অফ দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেট(এবিআইকিউ) -এর ১১ জন জিহাদি ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করেছে । শাহিনুর ইসলাম নামে ওই সন্ত্রাসবাদী পুলিশের খাতায় ওয়ান্টেড ছিল । আসাম পুলিশের এসটিএফ আইজিপি ডাঃ পার্থ সারথি মহন্ত জানিয়েছেন, আসামের ধুবরি জেলায় সফলভাবে অপারেশন “প্রগত” পরিচালনা করে ওই ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে এসটিএফ ।
তিনি বলেন,অভিযানের সময়, আমরা নুরিলিজা (উর্দুতে লেখা, পৃষ্ঠা ১ থেকে ৮২৯), জানা ওয়াজিব (শেখ নাজিবুল্লাহ হাক্কানি রচিত, পৃষ্ঠা ১ থেকে ৪৭ সম্বলিত), একটি প্যান কার্ড, একটি আধার কার্ড, একটি বই,পাসপোর্ট, একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি । তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় আইনি ও পদ্ধতিগত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হচ্ছে।’এসটিএফ দেশবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তিনি জানান ।
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশে কট্টর ইসলামী মৌলবাদী সরকার আসার পর থেকে ভারতে নাশকতা চালানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ,আসাম ও ত্রিপুরায় সন্ত্রাসবাদীরা ঢুকে পড়েছে বলে গোয়েন্দারা খবর পেয়েছে । আর তারপরেই আসাম সরকার সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে রাজ্যজুড়ে অপারেশন “প্রগত” নামে জিহাদির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে । আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) থানায় ২১/২০২৪ মামলার অধীনে সন্ত্রাসবাদী বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । এর আগে,২৪ শে ডিসেম্বর রাতে, এসটিএফ আসাম কোকরাঝার থানা এলাকার অন্তর্গত নামাপাড়ায় কোকরাঝার জেলা পুলিশের সহায়তায় একটি অভিযান ও অনুসন্ধান অভিযান চালায় এবং মৌলবাদী/জিহাদি উপাদানগুলির দ্বারা সম্ভাব্য বড় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এড়াতে একটি বিশাল সাফল্য অর্জন করে। একটি গ্লোবাল টেররিস্ট অর্গানাইজেশন (জিটিও)-এর দুই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী আব্দুল জাহের শেখ এবং সাব্বির মির্ধা নামে দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
আসাম পুলিশের ৪ নম্বর এসটিএফ টিম হাতে তৈরি রাইফেল উদ্ধার করেছে, যেগুলো একে-এর মতো দেখতে; ৩৪ রাউন্ড জীবন্ত গোলাবারুদ,২৪ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, কর্টেক্স সহ এক জোড়া জীবন্ত আন-প্রাইমড আইইডি,বিস্ফোরক সহ একটি হাতে তৈরি গ্রেনেড, কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি ডেটোনেটরের একটি সার্কিট,১৪ টি ইলেকট্রনিক সুইচ,২০ টি লোহার টুকরো এবং সর্বোচ্চ ক্ষতি/ধ্বংস করার জন্য প্লেট সহ আইইডি তৈরিতে ব্যবহৃত তিনটি লোহার কেস, আতশবাজিতে ব্যবহৃত বিস্ফোরক সহ বিপুল সংখ্যক সুইচ এবং তারের সাথে অন্যান্য অপরাধমূলক সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে । অভিযানটি সফলভাবে সন্ত্রাসী সংগঠনের ধৃত সদস্যদের বাংলাদেশ-ভিত্তিক হ্যান্ডলারদের দ্বারা পরিকল্পিত সন্ত্রাসের একটি বড় নাশকতার ঘটনা এড়াতে সক্ষম হয়েছে। এসটিএফ আসামের প্রধান ডাঃ পার্থ সারথি মহন্তের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই অভিযান চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই ।।

