এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),২৪ ডিসেম্বর : শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্লেক্স ও ব্যানার পোড়ানোর ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের কৈচরে । ক্ষীরগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মাসুদূর রহমান ওরফে মুকুলের নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্যসড়ক পথ অবরোধ করে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন । পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে ‘হাতে চুড়ি পরানো’র হুমকি দেন মাসুদূর রহমান । তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারনেই এই ঘটনা ঘটার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ।
জানা গেছে,মাসুদূর রহমান হলেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর অনুগামী৷ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার ও বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব বহুদিন ধরে চলে আসছে । দুই পক্ষের মধ্যে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে । আজকের উত্তেজনার সূত্রপাত হল ক্ষীরগ্রাম অঞ্চলের কুড়ুম্বা গ্রামে বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর ফ্লেক্স,ব্যানার ইত্যাদি ছিড়ে দেওয়া ও পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে । আসলে পালিশগ্রামে শ্যামাপ্রসন্ন অনুগামী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে পয়লা জানুয়ারী রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কৈচরে দলীয় কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের পাশাপাশি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার কথা ।সেই কারনে ক্ষীরগ্রাম অঞ্চলের কুড়ুম্বাগ্রাম সহ একাধিক গ্রামে রক্তদান শিবিরের ব্যানার টাঙানো হয় । ব্যানার টাঙানোর সময় বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজন বাধা দেয় বলে অভিযোগ । এনিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এমনিই উত্তেজনা ছিল । কিন্তু কুড়ুম্বা গ্রামে টাঙানো তৃণমূলের ফ্লেক্স ও ব্যানার সোমবার রাতে কেউ বা কারা পুড়িয়ে দেয় । আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নজরে পড়লে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । মাসুদূর রহমানের নেতৃত্বে কৈচর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এসে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে । তারা বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্যসড়ক পথ অবরোধও করে । ফলে বহু যানবাহন আটকে যায় । পুলিশ অবরোধ তোলার চেষ্টা করতেই তৃণমূল নেতা মাসদূর রহমান পুলিশকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন,’দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। একটা পর্যন্ত সময় থাকল। না হলে আপনাদেরকেও হাতে চুড়ি পড়িয়ে দেব।’ যদিও কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী এসে দলীয় কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় ।।