এইদিন ওয়েবডেস্ক,এগরা(পূর্ব মেদিনীপুর),২৩ ডিসেম্বর : বাংলাদেশে কট্টর ইসলামি মৌলবাদী সরকার আসার পর থেকে সব থেকে বিপদে আছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ । গোয়েন্দাদের সন্দেহ যে ভারতে নাশকতা চালাতে এবং অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ঢুকে পড়েছে বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী । তবে সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদ গ্রেপ্তার হওয়ায় অশনি সংকেত দেখছেন রাজ্যবাসী । শনিবার
একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এর একটি দল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ক্যানিং এলাকায় ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পাকিস্তান-প্রশিক্ষিত একজন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিকে সন্ত্রাসবাদোকে জাভেদ মুন্সি বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) অপারেটিভদের নির্দেশে মুন্সি কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ থেকে ক্যানিং এলাকায় এসেছিল । এর আগে বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’ বা এবিটি (আল কায়দার উপমহাদেশীয় শাখা) জঙ্গি মহম্মদ শাদ রাডি ওরফে শাব শেখকে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় । মুর্শিদাবাদের কান্দি এবং হরিহরপাড়া, দুই বিধানসভা কেন্দ্রেরই ভোটার ওই সন্ত্রাসবাদী । শাবের গ্রেফতারির আগে হরিহরপাড়া থেকে শাব-ঘনিষ্ঠ মিনারুল শেখ এবং মহম্মদ আব্বাস আলিকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। এভাবে এরাজ্যে একের পর এক কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদ গ্রেপ্তার হওয়ায় মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘জঙ্গিদের সরকারের মুখ হচ্ছে সিদ্দিকুল্লা-ফিরহাদ হাকিম আর মুখোশ হচ্ছে মমতা ।’
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা দীঘা মোড়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’এরাজ্যে জঙ্গিদের সরকার চলছে । শুধু ভোটার লিস্টটা নাম নয় শওকত মোল্লার বিখ্যাত ক্যানিংয়ে আজকে জাভেদ মুন্সী নামে একজন পাকিস্তানি সন্ত্রাসীকে কাশ্মীরের পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেছে । যে ক্যানিংয়ের সব ভোট তৃণমূল নেয় বা পায় ।’ তিনি বলেন,’গত লোকসভা ভোটে দুটো ভোট সিপিএম পেয়েছে, বাকি সব ভোট তোলামূল পেয়েছে । ওখানে আর এক জঙ্গি আয়ুব৷ গোটা রাজ্যটার জঙ্গিদের হাতে।’
শুভেন্দু বলেন,’এই সমস্ত সন্ত্রাসীরাও তো ভোট দেয় । আমরা ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার ভোট পেয়েছি । সবটাই হিন্দুদের এবং জনজাতিদের ভোট। তৃণমূল ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ভোট পেয়েছে । তারমধ্যে ২ কোটি মুসলমানের ভোট। আর চল্লিশ লক্ষ ছাপ্পা ভোট । ডায়মন্ড হারবারে কোন হিন্দুকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি । কেশপুরে কোন হিন্দু ভোট দিতে পারেনি । পিংলার একটা মন্ডলে কোন হিন্দু ভোট দিতে পারেনি।যেখানে একটা বুথে ৭২৭ তৃণমূল, ২ সিপিএম আর বিজেপি শূন্য… এটাই মডেল । এখানে জঙ্গিদের সরকার চলছে । জঙ্গিদের সরকারের মুখ হচ্ছে সিদ্দিকুল্লা, ফিরহাদ হাকিম । আর মুখোশ হচ্ছে মমতা ব্যানার্জি ।’
প্রসঙ্গত, দিন দুই এক আগে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন কোথায় সীমান্তে জমি দেওয়া হয়নি বলে দিক । উল্টে তিনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জন্য বিএসএফের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও তুলেছেন । ফিরহাদের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’ওরা আগে জমি দিক । তারপরে বিএসএফ-এর উপর আঙুল তুলবে । রাজ্যের ৭২ টা জায়গায় বিএসএফকে জমি দিচ্ছে না । বাংলাদেশ ভারতের বর্ডার হচ্ছে মোট ৪,০০০ কিলোমিটার । তার মধ্যে মেঘালয়, ত্রিপুরা, আসাম বাদ দিলে পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে ২২০০ কিলোমিটার । ২২০০ কিলোমিটারের মধ্যে মমতা ব্যানার্জি এবং এর আগে সিপিএম স্থল এবং জল মিলে জমি দেয়নি ৯৩১ কিলোমিটার । ফিরহাদ হাকিম হলো একটা অশিক্ষিত । ভারত সরকার যে জমি চাইছে সেটা ফিরহাদ হাকিম আগে দিয়ে দিক । তারপর বিএসএফ যদি কাঁটাতার দিতে না পারে অনুপ্রবেশ আটকাতে যদি না পারে তখন আওয়াজ তুলবেন আমরাও সঙ্গ দেবো । আগে বিএসএফকে জমি দিন তারপরে লেকচার মারবেন ।’।