এইদিন ওয়েবডেস্ক,মিরাট(উত্তরপ্রদেশ),১৯ ডিসেম্বর : উত্তরপ্রদেশের মিরাটে, টাক পড়া লোকদের মাথায় ওষুধ লাগিয়ে চুল গজানোর দাবি করা তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নাম সালমান, ইমরান ও সমীর। এই তিন অভিযুক্ত দিল্লি ও বিজনোরের বাসিন্দা। তবে গ্রেফতারের পরপরই তারা জামিন পেয়ে গেছে । জানা গেছে, ঘটনাটি মিরাটের লিসাদি গেট থানা এলাকার। কয়েকদিন আগে বিজনোরের বাসিন্দা সালমান তার কয়েকজন বন্ধুর সাথে মিরাটে গিয়েছিল। সে দাবি করেছিল যে তাঁর কাছে এমন একটি ওষুধ রয়েছে যা টাক মাথায় তেলের সাথে মিশিয়ে লাগালে চুল গজাবে। সারা সপ্তাহ ধরে মিরাটে এই দাবি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয় । গত ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর তারা লোকেদের এভাবে প্রতারিত করতে শুরু করে । এরপর ১৫ ডিসেম্বর রবিবার লিসাদী গেট থানা এলাকার শওকত ব্যাঙ্কোয়েট হলে ওষুধ লাগানো শুরু হয়। সেই সময় ব্যাপক জনসমাগম হয়। ওষুধ প্রয়োগকারীরা আরও জানায় যে, যারা ওষুধটি মাথায় লাগাতে চান তাদের আসল চুল কেটে ফেলতে হবে ।
একথা শুনে ভিড় পৌঁছে যায় পাশের নাপিতের দোকানে। পরে কয়েকজন নাপিতকে ব্যাঙ্কুয়েট হলে ডেকে নিয়ে টোকেন ব্যবস্থা চালু করা হয়। প্রথমে লোকেদের টোকেন দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের চুল কাটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। মাথার চুল গজানোর জন্য ২০ টাকা নেওয়া হয় এবং ৩০০ টাকা মূল্যের একটি তেলের বোতলও দেওয়া হচ্ছিল ।
এই ঘটনায় মিরাটের প্রহ্লাদ নগরের বাসিন্দা শাদাব রাও লিসাডি গেট থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছিল, বিজনোরের বাসিন্দা সালমান তার দলবল নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে । মাথার চুল গজানোর নামে যে ওষুধ ও তেল মানুষের কাছে বিক্রি করেছেন, তাতে অনেকের মাথায় চুলকানি ও অ্যালার্জি হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে, লিসাডি গেট থানায় ভারতীয় জাস্টিস কোডের ৩১৮(৪)/২৭২ ধারায় মিরাটের একটি মামলা দায়ের করা হয় । এরপর মামলায় নাম থাকা সালমান, ইমরান ও সমীরকে গ্রেফতার করে মিরাট পুলিশ। যদিও পরে তিনজনই জামিনে মুক্তি পেয়ে যায় । দেখা গেছে যে সমীরের মাথায় চুল থাকলেও সালমান ও ইমরানের মাথার সামনের অংশের চুল উঠে গেছে৷ কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ আশুতোষ কামার বলেন, এ বিষয়ে একটি প্রতারণার মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে।।