এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৭ ডিসেম্বর : বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মুসলিমদের দ্বারা চুড়ান্ত নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা । এবারে বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় শাখার জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা একই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মণি কর্মকার মণির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে মুসলিমরা । মণি কর্মকারের বোনকে জবাই করতে গিয়েছিল মুসলিমরা । তার ৭০ বছরের বৃদ্ধা মা বাঁচাতে গেলে ধারাল অস্ত্রের পোঁচে তার ডান হাতের সমস্ত আঙুল কাটা পড়ে যায় । একই ভাবে মণি কর্মকারের বোনেরও ডান হাতের সমস্ত আঙুল দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে । এদিকে হামলাকারীদের ধরার পরিবর্তে আক্রান্তের ছেলে ও মেয়েকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের জিহাদি পুলিশ । যদিও ওই নাবালক ও নাবালিকা সম্পূর্ণ নিরাপরাধ হওয়ায় আদালত তাদের জামিন দিয়েছে । আক্রান্ত মণি কর্মকারের বোনের গলা ও হাত মিলে মোট ১০০ টি সেলাই পড়েছে বলে জানা গেছে । বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরন জোটের ফেসবুক পেজে এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলা হয়েছে যে ইসলামী জিহাদীদের ভয়ে বাংলাদেশের প্রথম সারির মিডিয়া তো দূর নেত্রকোনার কোন স্থানীয় সাংবাদিক এই ঘটনা নিয়ে লেখার সাহস পাচ্ছেনা৷
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় মহিলা কমিশনের পূর্বধলা উপজেলায় শাখার ভাইস চেয়ারম্যান মণি কর্মকার মণি আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ছিলেন । আর তার সেই অপরাধে জামাত ইসলামী ও বিএনপি’র জঙ্গিরা দল বেঁধে মণিদেবীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে হামলা চালায় । কিন্তু তিনি সেই সময় বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান । তাকে না পেয়ে তার বোনকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে জঙ্গিরা । আর বৃদ্ধা মা তখন বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন । মণিদেবীর মা ও বোন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
এই ঘটনায় বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে তীব্র খুব প্রকাশ করা হয়েছে ওই ফেসবুক পেজে । ঘটনা নিন্দা জানিয়ে লেখা হয়েছে, ‘একেতো হিন্দু পরিবার, তার উপর মণি কর্মকার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, তাই একদল এসে বলবে তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তার পরিবারের উপর এমন বর্বরতা চালানো হয়েছে! ওহে মূর্খ! উনি নাহয় আওয়ামী লীগ করেন,ওনার মা, বোন আর স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়ের অপরাধ কি ? এধরণের অমানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য আজ হোক, কাল হোক, শুধু বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ নয়, পুরো পৃথিবী বলবে ডঃ ইউনূসের আমলে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ আর বিচারহীন সংস্কৃতির অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে।” এবং এরজন্য প্রধানত দায়ী থাকবে বাংলাদেশের এখন যেসব সক্রিয় রাজনৈতিক দল আছে তারাই। কারণ, রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্যর কারণে তারা এধরণের অমানবিক এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে।’।