শেখ মিলন,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৬ ডিসেম্বর : কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ‘সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু’ মন্তব্য নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে । এরই মাঝে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ‘খেলা হবে’ নিদান দিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা রাজ্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তার কথায়,’দেড় বছর পর আমরা খেলতে নামবো। ২০২৬-এ খেলা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল হারার জন্য খেলে না। আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে খেলবো এবং আমরা জিতবো।’
রবিবার আউশগ্রাম-২ ব্লকের গেঁরাই ফুটবল মাঠ থেকে ২৬ এর নির্বাচনে খেলা হওয়ার নিদান দিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা রাজ্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। জানা গেছে, আউশগ্রাম দুই ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শেখ আব্দুল লালনের উদ্যোগে দাতা মিলন মেলা ও হালিম হালিমা স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মা বাবার স্মৃতির উদ্দেশ্যে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ‘মরহুম হালিম হালিমা স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতা’র আয়োজন হয়ে আসছেন লালন । মাসখানেক আগে ওই প্রতিযোগিতার সূচনা হয়। যেখানে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলা পরিষদ একাদশ সহ ১৬ টি সহ দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। চূড়ান্ত পর্যায়ের ফাইনাল খেলা রবিবার মুখোমুখি হয় পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ একাদশ বনাম রিমন্ড এন্টার প্রাইজ সিমনোড়। নির্ধারিত সময়ে ১-০ গোলে জয়লাভ করে রিমণ্ড এন্টারপ্রাইজ। খেলায় বিজয়ী ও বিজিত দলকে সুদর্শনীয় ট্রফি সহ আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়। খেলায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ, ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট, বেস্ট গোলরক্ষক, সহ নানান পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এদিনের জমজমাট ফুটবল ফাইনাল প্রতিযোগিতার শান্তির বার্তা দিয়ে পায়রা উড়িয়ে খেলার শুভ উদ্বোধন করেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা রাজ্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ও বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, সহ-সভাধিপতি গার্গী নাহা, পশ্চিম বর্ধমানের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি রাসবিহারী হালদার,রাজ্য যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার, যুবনেতা শেখ সঞ্জু, বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান সহ সহ অন্যান্যরা।
রবিবারের জমজমাট ফুটবল ফাইনাল প্রতিযোগিতা দেখতে মাঠে হাজির ছিলেন অসংখ্য ফুটবল প্রেমী মানুষজন। উদ্যোক্তা আব্দুল লালন বলেন, বর্তমানে যুব সমাজ মোবাইল গেমে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। মা মাটি মানুষের সরকার যুব সমাজকে মাঠ মুখি করার লক্ষ্যে নানান প্রকল্প চালু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন। জমজমাট এই ফুটবল ফাইনাল প্রতিযোগিতাই প্রায় ৭০ হাজার ফুটবলপ্রেমী মানুষ হাজির ছিলেন। রাজ্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সংসদ সায়নী ঘোষ দাতা লালনের এই উদ্যোগকে প্রশংসা করেছেন বলেও তিনি জানান ।।