শেখ মিলন, ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৫ ডিসেম্বর : আজ রবিবার থেকে মাঠ থেকে পাকা ধান কেটে খামারে তোলার কথা ছিল । কিন্তু তার আগেই রহস্যজনকভাবে আগুন ধরে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেল বিঘার পর বিঘা পাকা ধান আছ । ধানের উপর নির্ভরশীল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের শিলাকোট গ্রামের বাসিন্দা মধুসূদন ঘোষ নামে ওই চাষি এখন কিভাবে এই ক্ষতিপূরণ করবেন তা ভেবে কুলকিনারা করতে পারছেন না । এদিকে আগুন লাগার কারন নিয়ে ধন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে । কেউ কেউ দাবি করছেন যে হারভেস্টরে ধান তোলার পর জমিতে পড়ে থাকা নাড়ায় আগুন ধরানোর কারনেই সেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে মধুসূদনবাবুর প্রায় ৬ বিঘার মত জমির পাকা ধান৷ এনিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা ।
জানা গেছে,ভাতার থানার শিলাকোট গ্রামের বাসিন্দা মধুসূদন ঘোষ মূলত কৃষিকাজ করেই সংসার চালান । এ বছর খরিপ মরসুমে প্রায় ৪০ বিঘা জমির ধান চাষ করেছিলেন তিনি ।তার মধ্যে শিলাকোট গ্রাম সংলগ্ন ডিভিসি ক্যানেলের পাশে লাইবেগী মাঠে প্রায় ১৩ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছিলেন । প্রায় পাঁচ মাস পরিচর্যার পর ধানের ভালোই ফলন হয়েছিল । আজ মাঠ থেকে ধান তোলার কথা ছিল । কিন্তু তাঁর আগেই আগুনে পুড়ে খাক প্রায় ছয় বিঘার জমির ধান।
স্থানীয়দের দাবি, শিলাকোট ডিভিসি ক্যালেন সংলগ্ন কয়েকটি জমির ধান হারভেস্টার মেশিনে কাটার পর জমিতে পড়ে থাকা খড় বা নাড়ায় আগুন ধরানো হয়েছিল । সেই আগুন বাতাসে ছড়িয়ে একের পর এক ধান জমিতে ছড়িয়ে পড়ে । স্থানীয়রা খবর পেয়ে এসে দেখেন যে ওই কৃষকের প্রায় ছয় বিঘা জমির ধান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যদিও স্থানীয়দের তৎপরতায় বাকি জমিগুলির পাকা ধান বাঁচাতে সম্ভব হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ছেলে রানা ঘোষ জানান, তাদের পরিবার কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। আগুনে পুড়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রশাসন তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তিনি। পাশাপাশি সরকারি সাহায্যের আবেদন জানান ক্ষতিগ্রস্থ ওই কৃষক । অন্যদিকে স্থানীয় মানুষ মাধব সেনাপতির দাবি, নাড়া পোড়ানো বন্ধ করতে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে বারবার সচেতন করা হলেও একশ্রেণীর মানুষ এখনো অসচেতন। আগামী দিনে নাড়াপোড়ানো বন্ধ করতে কৃষি দপ্তর আরোও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। কৃষি দপ্তরের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানান স্থানীয় মানুষজন।।

