কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মণিশঙ্কর আইরারের পাকিস্তান প্রেম কারোর অজানা নয় । বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎখাতের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ফের ওই বৃদ্ধ কংগ্রেসি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে ভারতেও বাংলাদেশের মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে ৷ প্রায় একই কথা শোনা গিয়েছিল কংগ্রেসের ‘যুবরাজ’ রাহুল গান্ধীর গলাতেও । শনিবার কলকাতার একটা অনুষ্ঠানে মমতা ব্যানার্জির ক্যাবিনেটের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ‘দেশে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ’ হওয়ার বিষয়ে আশার বাণী শোনানোয় অনেকে সিঁদূরে মেঘ দেখছেন । তাহলে কংগ্রেস বা তৃণমূল কংগ্রেসের মত রাজনৈতিক দলগুলি কি চাইছে যে ভারতেও গৃহযুদ্ধ হোক ?
আসলে,ভারতের মাত্র ১০ কোটি মুসলিম ভোটারের ভোট পেতে লালায়িত কংগ্রেস, বামপন্থী, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি(এসপি),আম আদমি পার্টির(আপ) মত রাজনৈতিক দলগুলি । এদিকে,৮৫ কোটি হিন্দুকে জাতপাতের ভিত্তিতে বিভক্ত করে রেখে তারা যেনতেন প্রকারেণ ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে ! কিন্তু এর পরিনাম যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের মত হবে, সেই আশঙ্কার সুর শোনা গিয়েছিল সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায় । তিনিও এও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মমতা ব্যানার্জি কি পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের মতো বানানোর সুপারি নিয়েছেন ?’
জনৈক এক বুদ্ধিজীবী সুভাষ চন্দ্রের কথায়, একদিকে কংগ্রেস ভারতে আমেরিকান আইন জারি করে সকলের সম্পদ লুট করে দারিদ্র্যের নামে মুসলমানদের ভাগ করতে চায়, অন্যদিকে শরিয়া আইন চালু করে দেশকে পাকিস্তানি ইসলামিক জাতিতে পরিণত করতে চায়। এইভাবে, কংগ্রেসের লক্ষ্য হল দেশে একটি গৃহযুদ্ধ শুরু করা যার জন্য চীন, পাকিস্তান, আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের জনগণ কংগ্রেসের সাথে দাঁড়িয়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন,কংগ্রেসের টার্গেট আদানি, আম্বানি, টাটার মত বড় শিল্পপতিদের তারা ধ্বংস করতে চায়। রাহুল গান্ধী প্রথমে বলেছিলেন যে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কারণে বিজেপি আবার জিতলে দেশে আগুন জ্বলবে এবং এই দেশ বাঁচবে না। এটি একটি গৃহযুদ্ধ শুরু করার হুমকি এবং মনে হচ্ছে পুরো বিরোধী দল একটি “মুসলিম” সেনাবাহিনী প্রস্তুত করছে। তাই রাহুল গান্ধী শুধু মুসলমানদের কথাই বলেছেন।
একটা টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি বলেছেন যে এখন তিনি তার জনগণের সম্পত্তি বণ্টনের প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন,’আমরা দেশ এক্স-রে করব, দুধে দুধ ও জল আলাদা হয়ে যাবে, সংখ্যালঘুরা জানতে পারবে দেশে তাদের অংশগ্রহণ কতটা। এর পরে আমরা একটি আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সমীক্ষা চালাব এবং খুঁজে বের করব… ভারতে কার হাতে এবং কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে । এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের পর আমরা বিপ্লবের কাজ শুরু করব। আপনার অধিকার যা আপনাকে দিতে আমরা কাজ করব।
তিনি বলেছেন,এটি কেবল সংবিধান বাতিল করে বা একজন মুঘল শাসকের সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী শাসনের মাধ্যমে করা যেতে পারে। তিনি যে মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা বলছেন, প্রথমে সাহস করে সেখানকার ধনী ব্যক্তিদের সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে সেই সম্প্রদায়ের দরিদ্র মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে দেখুন । ওয়াকফ বোর্ডের ৮ লাখ একর জমি রয়েছে। আপনি যদি আতিক আহমেদ, মুখতার আনসারির মতো মাফিয়া, আজম খানের মতো ধনী মুসলমান, বলিউডের ধনী খান অভিনেতারা এবং অন্যান্য মুসলিম শিল্পীদের সম্পত্তি বণ্টনের কাজ করেন, তাহলে আপনার উদ্দেশ্য জানা যাবে।
রাহুল গান্ধীর গুরু সত্যনারায়ণ গঙ্গারাম পিত্রোদা বলছেন, আমেরিকায় আপনার মৃত্যুর পর আপনার সম্পত্তির ৫৫% সরকার নেয় এবং ৪৫% আপনার সন্তানদের কাছে যায়। সরকারের উচিত আয়কর ৫০% বৃদ্ধি করা। পিত্রোদা এখন বলছেন, এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত যা মোদী ও বিজেপি শোষণ করছে, পিত্রোদা ৮ কোটি করদাতার উপর আরো কর আরোপ করে দেশকে লুট করতে চান এবং যারা বেশি সন্তান উৎপাদন করেন তাদের সবকিছু দিতে চান।
তিনি বলেছেন, স্যাম পিত্রোদা কেন ভুলে যান যে আমেরিকার জনসংখ্যা ৩৩ কোটি এবং ভারতের ১৪০ কোটি। আমেরিকায় ৫০% করদাতা ১৬-১৭ কোটি এবং ভারতে মাত্র ৮ কোটি অর্থাৎ মাত্র ৫-৬% এবং আপনারা তাদেরও এক্স-রে করে লুট করতে চান।
তিনি বলেছেন,ইংরাজিতে একটা প্রবাদ আছে “চ্যারিটি বিগিনিস অ্যাট হোম” অর্থাৎ দাতব্য শুরু করতে হয় বাড়ি থেকে । তাই আজ, রাহুল গান্ধী তার দলের ধনী নেতাদের সম্পত্তিও তার দলের দরিদ্র কর্মী ও মুসলিম কর্মীদের মধ্যে পুনর্বন্টন করতে পারেন। সবচেয়ে ধনী বিধায়ক ডিকে শিবকুমারের ১,৪০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে, তার ভাই ডিকে সুরেশ সবচেয়ে ধনী প্রার্থী যার ৫৮৩ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। শ্যালকের লন্ডনে ২০ টি ফ্ল্যাট রয়েছে এবং শোনা যাচ্ছে মল্লিকার্জুন খাড়গের ৫০ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। যাইহোক, কংগ্রেসকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধীকে জনগণের দ্বারা দান করা সোনা, নেহেরুজির সুভাষ বোসের সোনা ভর্তি ট্রাক এবং গায়ত্রীদেবীর দুর্গ থেকে বের করা গুপ্তধনের হিসাবও দিতে হবে। বাকিটা নিজেই জেনে নিন।
তিনি বলেন,রাহুল গান্ধী যে জাত শুমারি করতে আগ্রহী তা কোনও কংগ্রেস সরকার পরিচালনা করেনি । কংগ্রেসের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সতর্ক থাকা দরকার। তারা ক্ষমতার জন্য এবং নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে যেকোনো কিছু করতে পারে ।।

