এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুজরাট,১৪ ডিসেম্বর : ভূয়ো ইডি অফিসারের ১২ জনের একটা দলকে গত সপ্তাহে গুজরাটের কচ্ছে পাকড়াও করে পুলিশ । আর ওই চক্রের মাস্টারমাইন্ড হল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির (এএপি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সাত্তার মানজোথি । এই ভূয়ো ইডির দলটি গত ২ ডিসেম্বর,গান্ধীধামের রাধিকা জুয়েলার্সে একটি জাল অভিযান চালিয়েছিল এবং দোকান থেকে ২২.২৫ লক্ষ টাকার গয়না এবং নগদ লুটপাট চালিয়েছিল ।
গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি এক্স-এ কেজরিওয়ালের দলের ওই গুনধর নেতার বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,’অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির আরেকটি কীর্তি প্রকাশ্যে এল! গুজরাটে দলের এক নেতা ভুয়া ইডি দল তৈরি করে তার পান্ডা হয়ে মানুষকে লুট করে!
কচ্ছে ধরা পড়ল ভুয়ো ইডি টিম কমান্ডার গুজরাট আম আদমি পার্টির নেতা! এই কেজরিওয়ালের শিষ্যদের অপকর্মের বাস্তব প্রমাণ !’ মন্ত্রী একটি ভিডিওও শেয়ার করেছেন, যেখানে পুলিশ গাড়ি থেকে ভুয়া ইডি দলকে বের করে সামনে নিয়ে আসছে। এতে আবদুল সাত্তারকেও একসঙ্গে দেখা যায়।
গহনার দোকানে জাল অভিযানের সময়, অপরাধীরা ইডি অফিসার হওয়ার জাল আইডি কার্ডও দেখিয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন ইডি অফিসার অঙ্কিত তিওয়ারির নামে আইডি কার্ড দেখায় । জাল অভিযানের সময়,অপরাধীরা গয়না ও নগদ মিলে ২৫.২৫ লাখ টাকার সামগ্রী নিয়ে নেয় । আসামিরা সেগুলি বাজেয়াপ্ত দেখিয়ে তাদের সঙ্গে নিয়ে যায়। ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় তারা।
তাদের কর্মকাণ্ডে ব্যবসায়ীর সন্দেহ হলে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৎপর হয় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা পুলিশ জানতে পারে যে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে এই ঘটনায় । শেষ পর্যন্ত এই মামলায় ১২ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একইসঙ্গে এক অভিযুক্ত ভিপিন শর্মা এখনও পলাতক।
এই চক্রের তিনটি গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ২২.২৭ লক্ষ টাকার সোনার অলঙ্কারও উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুল সাত্তার মানজোথি, ভারত মোরওয়াদিয়া, দেবায়ত খাচার, হিতেশ ঠক্কর, বিনোদ চুদাসামা, ইউজিন ডেভিড, আশিস মিশ্র, চন্দ্ররাজ নায়ার, অজয় দুবে, অমিত মেহতা, তাঁর স্ত্রী নিশা মেহতা এবং শৈলেন্দ্র দেশাই। পুলিশ জানিয়েছে যে এই দলে আহমেদাবাদ, গান্ধীধাম এবং ভুজের লোক রয়েছে এবং তারা বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের মূলত নিশানা করে। আহমেদাবাদ এবং ভুজে ব্যবসায়ীদের ছিনতাই করার পরে, গ্যাংটি গান্ধীধামের খুচরা বিক্রেতাদের প্রতারণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ।
এদিকে হর্ষ সাঙ্ঘভির অভিযোগের বিষয়ে স্পষ্টীকরণ দিয়েছে আম আদমি পার্টি । এএপি নেতা গোপাল ইতালিয়া বলেছেন,’আমাদের দল ইতিমধ্যেই মনজোথির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে পেরে তাকে বহিষ্কার করেছে, তবে আমি অবাক হয়েছি যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার গ্রেপ্তারের দশ দিন পরে তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। এটা স্পষ্ট যে একটি অপরাধকে রাজনৈতিক এজেন্ডার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।’।