এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১২ ডিসেম্বর : ধর্মীয় স্থান সমীক্ষা নিয়ে নতুন পিটিশন গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যেসব ধর্মীয় স্থানের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বিচারাধীন রয়েছে সে বিষয়ে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। এ ছাড়া কোনো ধর্মীয় স্থান জরিপের নির্দেশ দেওয়া হবে না। প্লেস অব ওয়ার্শিপ অ্যাক্ট আইনের ওপর চলমান শুনানিকালে আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত ৷ মুখ্য বিচারপতি(সিজেআই) সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) উপাসনার স্থান আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনের শুনানি করে । হিন্দুপক্ষ এই আইনকে অসাংবিধানিক এবং মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। এ নিয়ে অনেক পিটিশন দাখিল করা হয়। এর সমর্থনে জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দের মতো সংগঠন রয়েছে।
কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে এখন দেশের আদালতে এমন কোনও আবেদন গ্রহণ করা হবে না, যেখানে কোনও ধর্মীয় স্থানের মর্যাদা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এসব আবেদনের শুনানি হবে না। এই আদেশ সুপ্রিম কোর্টের নিচের সব আদালতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া কোনো ধর্মীয় স্থানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা বিচারাধীন বা জরিপের আদেশ দেওয়া হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে আদালত কোনো অন্তর্বর্তী বা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। এর অর্থ হল জ্ঞানভাপির মতো মামলায় সাময়িক স্থগিতাদেশ থাকবে।
সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে যে যে সমস্ত ক্ষেত্রে পিটিশন গৃহীত হয়েছে, সেখানে এএসআই বা কোর্ট কমিশনারের মতো সমীক্ষার আদেশ জারি করা হবে না। এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে যতক্ষণ না সুপ্রিম কোর্ট প্লেস অফ ওয়ার্শিপ অ্যাক্টের সাংবিধানিকতার বিষয়ে রায় দেয়। অর্থাৎ শুনানি না চলা পর্যন্ত মসজিদ, গির্জা বা মন্দিরের মতো কোনো ধর্মীয় স্থান সম্পর্কে কোনো দাবি করা যাবে না। উপাসনালয় আইনের মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা দাখিল করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। পরবর্তী শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এখন এই বিষয়ে পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করবে। লক্ষণীয় যে বর্তমানে হিন্দু পক্ষ বারাণসীর জ্ঞানভাপি, ধরর ভোজশালা, মথুরার শাহী ঈদগাহ, সম্বলের জামে মসজিদ, বাদাউনের শামসি জামে মসজিদ এবং আতালা সহ এরকম অনেক ধর্মীয় স্থানের অবস্থা নিয়ে আদালতে মামলা করেছে। রয়েছে জৌনপুরের মসজিদও৷ এর মধ্যে কোনোটিতে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে আবার কোনোটিতে জরিপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন ওই সমস্ত মামলাগুলি অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে ।।