এইদিন ওয়েবডেস্ক,গোয়া,০৯ ডিসেম্বর : জম্মু- কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) প্রধান মেহবুবা মুফতির কন্যা ইলতিজা মুফতি হিন্দুত্বকে “একটি রোগ”, “ঘৃণার আদর্শ” এবং “রাম দেবতাকে অবশ্যই লজ্জায় মাথা নত রাখা উচিত” বলে মন্তব্য করেছিলেন । তার এই প্রকার টুইটের পর গোটা দেশজুড়ে হিন্দুরা মেহেবুবা কন্যাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন । তেলেঙ্গানা বিজেপি বিধায়ক টাইগার রাজা সিং ইলতিজা মুফতির জন্ম বৃত্তান্ত সামনে এনে কটাক্ষ করেছেন,’ইলতিজা মুফতির যিনি দাদু তিনিই আবার তার বাবা,এটাই তোমাদের ইতিহাস’।
রবিবার গোয়ার কুর্চোরেমে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল এবং হিন্দু সংগঠনগুলির দ্বারা গীতা জয়ন্তীর স্মরণে আয়োজিত শৌর্য যাত্রা অনুষ্ঠানে গীতা পূজার পর জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় রাজা সিং বলেন, ‘আমি তাকে(ইলতিজা মুফতি) বলতে চাই যে তোমার যে আম্মি, আর তোমার যে আব্বা, তিনি মেহবুবা মুফতির নিজেত কাকা ৷ অর্থাৎ ইলতিজা মুফতির যিনি দাদু তিনিই আবার তার বাবা । এটাই তো তোমাদের ইতিহাস ৷ আরে, আমাদের ইতিহাসে আঙুল উঠানোর আগে ১০০ বার ভেবে দেখো । কারন আমরা যদি তোমাদের ইতিহাস খুঁড়তে শুরু করি তাহলে তোমাদের সাত পুরুষ স্মরণে রাখবে যে কোন হিন্দুদেরকে তোমরা বদনাম করার চেষ্টা করেছিলে ।’
আসলে মেহেবুবা মুফতির স্বামী জাবেদ ইকবাল শাহ হলেন তার নিজের কাকা । অর্থাৎ মেহেবুবার বাবা মুফতি মোহাম্মদ সাঈদের খুড়তুতো ভাই জাবেদ ইকবাল শাহ । জম্মুতে গভর্নমেন্ট কলেজ ফর উইমেন থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক এবং কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করা মেহেবুবা মুফতি ১৯৮৪ সালে জাভেদ ইকবাল শাহকে বিয়ে করেন। তাদের দুই মেয়ে ইলতিজা মুফতি ও ইরতিকা মুফতি৷ যদিও পরে মেহেবুবাকে তালাক দেন জাভেদ ইকবাল শাহ এবং বর্তমানে আলাদাভাবে বসবাস করছেন।
টাইগার রাজা সিং বলেন,’কাশ্মীরের একজন নায়িকা আছে। নায়িকা মানে জম্বু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতির বিগড়ে যাওয়া সন্তান । ইলতিজা মুফতি । তিনি একটা টুইট করেছেন, কোন এক ব্যক্তি একজন কিশোরকে চপ্পল মেরে জয় শ্রীরাম বলিয়েছে । একজন ব্যক্তি, না জানি কোথাকার কি কাজ করেছে, তার সঙ্গে আমাদের কি লেনাদেনা ? কিন্তু ইলতিজা মুফতি আমাদের গোটা হিন্দু সমাজের উপর মন্তব্য করেছে । ও বলছে যে আজ ভগবান রামকে লজ্জিত হওয়া উচিত,ওনার মাথা লজ্জায় নত হয়ে যাওয়ার কথা । আর আজকের যে হিন্দু সমাজের যে কার্যকতাদের নাকি ঘৃণার আদর্শ ৷ আমি তাকে বলতে চাই যে তোমার যে আম্মি, আর তোমার যে আব্বা, তিনি মেহবুবা মুক্তির কাকা৷ অর্থাৎ ইলতিজা মুফতির যিনি দাদু তিনিই আবার তার বাবা । এটাই তো তোমাদের ইতিহাস৷ আরে আমাদের ইতিহাসে আঙুল উঠানোর আগে ১০০ বার ভেবে দেখো । কারন আমরা যদি তোমাদের ইতিহাস খুঁড়তে শুরু করি তাহলে তোমাদের সাত পুরুষ স্মরণে রাখবে যে কোন হিন্দুদেরকে তোমরা বদনাম করার চেষ্টা করেছিলে । ‘
রাজা সিংয়ের ওই মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । তাঁকে বলতে শোনা গেছে, ‘কাশ্মীরের যে ৩৭০ ধারা সরানো হয়েছে এই মহিলাই বিরোধ করেছিল । যখন অযোধ্যায় ভগবান শ্রীরামের মন্দির হচ্ছিল তখন এই মহিলাই বিরোধ করেছিল । যখন কাশ্মীরে কাশ্মীরে পণ্ডিতদের হত্যা করা হয়েছিল তখন তোমাদের পূর্বপুরুষরাই তাদেরকে হত্যা করছিল । তোমার কি স্মরণে নেই যে কত হিন্দু তোমাদের অত্যাচার সহ্য করেছিল ?’
তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন,’আজ প্রতিটি হিন্দুকে একটা সংকল্প করতে হবে যে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের পিটিয়ে দেশছাড়া করতে হবে । যে তিরঙ্গার জন্য আমরা প্রাণ দিতে পারি এবং নিতে পারি সেই তিরঙ্গার অপমান হচ্ছে বাংলাদেশে ।’ এরপর তিনি বাংলাদেশের একটা পতাকা বের করে সেটিকে টুকরো টুকরো করে বলেন,’ভারতের সঙ্গে যে টক্কর নিতে আসবে তাকে এইভাবেই টুকরো টুকরো করে দেওয়া হবে । ভারতের সঙ্গে যে টক্কর নিতে আসবে, হিন্দুদের সঙ্গে যে টক্কর নিতে আসবে তাকে এই ভাবেই ছিঁড়ে ফেলা হবে৷’
রাজা সিংহ একটা তরবারি খাপ থেকে বের করে বলেন,’এটা শুধু খাপের মধ্যে রাখার জন্য নয় বন্ধু । এই তরবারি প্রতিটি হিন্দুর ঘরে থাকা দরকার । আগামী দিনে দিনের জন্য এটাই দাবি হবে যে লড়বে সেই জিতবে । যে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে এগুনোর চেষ্টা করবে সে মরবে । সেই কারণে আমার প্রতিটি হিন্দু ভাইয়ের কাছে নিবেদন যে অস্ত্রবিদ্যা প্রত্যেকটা হিন্দুকে শিখতে হবে ৷ কিন্তু আগামী দিনে… যেভাবে আমাদের জনসংখ্যা কমছে….প্রতিটা হিন্দু একশত জিহাদিকে শিক্ষা দিতে পারবে…. পরিবারের রক্ষা, নিজের কলোনির রক্ষা এবং দেশের রক্ষার জন্য অস্ত্র প্রশিক্ষণ খুবই জরুরী । আর অস্ত্রবিদ্যা শেখার জন্য বজরং দলের সঙ্গে যোগাযোগ করুন । যেভাবে গোয়ায় আজ হিন্দুদের অত্র প্রশিক্ষণ দেখলাম তাতে এটা নিশ্চিত যে গোয়ার হিন্দুরা জেগেছে । গোয়ার হিন্দু একত্রিত হয়েছে । গোয়ার হিন্দুরা আর যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ।’
সবশেষে তিনি উপস্থিত যুবকদের সংকল্প বাক্য পাঠ করান, ‘আমি যতদিন জীবিত থাকবো আমরা হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার সংকল্প নিচ্ছি । আমরা বিভক্ত হব না । আমরা কাটবো না । যারা হিন্দুত্বকে খতম করার জন্য এগিয়ে আসবে সেই জিহাদী কে আমরা ছাড়বো না । আমরা গোমাতার রক্ষা করব । হিন্দু বোন মেয়েকে লাভ জিহাদের হাত থেকে বাঁচাবো । আমরা এই পবিত্র ভারত ভূমিকে মুঘলদের থেকে মুক্ত করবো । আমরা ফের আমাদের ভারতকে শক্তিশালী হিন্দু রাষ্ট্র বানাবো । আমরা এই সংকল্প ভগবানকে সাক্ষী মেনে নিচ্ছি । আমাদের সন্তানদের সংঘের শাখায় পাঠাবো । আর আমাদের বড় ছেলেদের কট্টর বজরঙ্গি তৈরি করব ।’।