শেখ মিলন,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৬ ডিসেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান-বোলপুর ২ বি জাতীয় সড়কের পাশে আউশগ্রাম ব্লকের বড়াগ্রাম সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে চারটি কারখানা। তিনটি তেল উৎপাদন কারখানা ও একটি রয়েছে ইথানল তৈরির কারখানা। ওই চার কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য জল ও ছাইয়ের কারনে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় গ্রামবাসীদের । তাদের অভিযোগ যে একদিকে যেমন কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য জল ধান জমিতে ঢুকে ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে । অন্যদিকে কারখানার ছাই বাতাসে ওড়ার কারনে ব্যাপক দূষণ ছড়াচ্ছে এলাকায় । অবিলম্বে বিষয়টির উপর নজর দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা ।
বড়াগ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ,কারখানাগুলি থেকে প্রতিনিয়ত নির্গত হচ্ছে পচা দুর্গন্ধযুক্ত জল। সেই জল নালা বয়ে ধান জমিতে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধানজমি। বাতাসে উড়ছে ছাই। ধান জমিতে সেই ছয়ের আস্তরণ পড়ার ফলে ধান কাটার কাজ করতে এসে ফিরে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। ধান কাটার কাজে আসতে চাইছেন না শ্রমিকরা। পাশাপাশি বাতাসে পচা দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষজন। স্থানীয় স্কুলের শিক্ষকদের দাবি,কারখানাগুলি থেকে উড়ে আসা ছাইয়ের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রচন্ড সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে । মিডডে মিলের রান্না বদ্ধ ঘরের মধ্যেই করতে হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা মিড ডে মিলের খাওয়ার সময় খাবারে ছাই উড়ে পড়ছে । যার ফলে চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
এই বিষয়ে তেল কারখানা কর্তৃপক্ষ কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। ইথানল কারখানার জেনারেল ম্যানেজার বিএম মিশ্র ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। তবে তিনি জানিয়েছেন কারখানা থেকে যে বর্জ্য নির্গত হচ্ছে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। এই বিষয়ে আউসগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন,’এলাকাবাসীদের সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমরা চাই কারখানা কর্তৃপক্ষ দূষণ নিয়ন্ত্রক মেশিন ব্যবহার করুক।’।