প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৩ নভেম্বর :
কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার । বুধবার থেকে আগের মতই হিমঘর থেকে আলু বের হবে ও বাজারেও সরবরাহ করা হবে । রাজ্য সরকারের চাপে পিছু হটে শেষঅব্দি এই সিদ্ধান্তই নিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বেচারহাটে আলু ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে এই কথাই জানিয়ে দেওয়া হল। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাঙালির পাতে আলু নিয়ে আর কোন দুঃশ্চিন্তা রইলো না।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় খোলা বাজারে চড়ে গিয়েছিল আলুর দাম । মঙ্গলবার সকালেও খোলা বাজারে চড়া দামেই আলু বিক্রি হয়। বর্ধমানের পুলিশ লাইন বাজার থেকে স্টেশন বাজার কিংবা নীলপুর বাজার সব জায়গাতেই খোলা বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৬ টাকা কিলো দরে। চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কিলোদরে। বাজারের খুচরো বিক্রেতারা বলেন,’সোমবারও আমরা আলু বিক্রি করেছি ৩২ টাকা কেজি দরে।কিন্তু এদিন আলুর জোগান কমে যায়।বস্তায় ২০০ টাকা বেশী দামে আলু কিনতে হয়। তাই আলু বিক্রির দাম বেড়ে যায়।’
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বর্ডার না খুললে তারা মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতিতে সামিল হবেন।সেই মত এদিন হিমঘর থেকেও আলু বের হয়নি ।এদিন স্তব্ধ থাকে হিমঘরের ব্যস্ততা।পূর্ব বর্ধমান জেলায় কোন হিমঘর থেকে কার্যত কোন আলু এদিন বের হয় নি । রাজ্য প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির ডাকা কর্মবিরতিতে সহমত পোষণ করে হিমঘর মালিক এ্যাসোশিয়েশন।ফলে হিমঘর থেকে আলু বের না হওয়ায় বাজারে জোগান কমে যায়।
খুচরো ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে আলুর জোগান কমে গিয়েছে। প্রতি বস্তায় ২০০ টাকা বেশী দাম দিয়ে আলু কিনতে হচ্ছে ।তাই বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা কিলোদরে। চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে বাজারে ৪০টাকায়।এ নিয়ে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সভাপতি জগবন্ধু মণ্ডল এদিন বলেন,’আমরা সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কর্মবিরতি তুলে নিচ্ছি। বুধবার হিমঘর থেকে আলু বের হবে।“রাজ্য সম্পাদক লালু মণ্ডল জানান,“এই মুহূর্তে রাজ্যের হিমঘর গুলিতে আলু আছে প্রায় ৯ শতাংশ। যা আলু মজুত আছে তাতে কোন ভাবে আলর জোগানে টান পড়বে না।।