এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগণা,৩০ নভেম্বর : বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালাচ্ছে সংখ্যাগুরু মুসলিমরা । ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা এই পাশবিক অত্যাচারের নিন্দায় সড়ক হয়েছেন । তারা পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন । বিগত দূর্গা পুজো থেকে শুরু করে কার্তিক পুজো পর্যন্ত একের পর এক পুজো মন্ডপে হামলার ঘটনা দেখে ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের বাংলাদেশী হিন্দুদের মতো অবস্থা হবে বলে মনে করছেন তারা । এই বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগ প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ । শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হাবড়ার রেলস্টেশনে আয়োজিত ‘চায় পে চর্চা’য় অংশগ্রহণ করে এনিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দিলীপবাবু ভবিষ্যৎবাণী করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গ,পশ্চিম বাংলাদেশ হতে বেশি সময় লাগবে না ।
দিলীপ ঘোষ বলেন,’হাবড়া অঞ্চলে এমন বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা দেশ ভাগের পর এইপারে চলে এলেও তাঁদের বহু আত্মীয় রয়ে গেছেন বাংলাদেশে। সেখানে হিন্দুদের এই পরিস্থিতি দেখে যথেষ্ঠ চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা, চিন্তায় রয়েছি আমরাও। আমরা দেখেছি কিছুমাস আগেই কিভাবে হিন্দুদের খুন করা হয়েছে, মায়েদের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছে, হিন্দু মন্দির, হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙা হয়েছে। মন্দিরে হামলা চালানো, মূর্তি ভাঙার কাজ পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়ে গেছে। তাই পশ্চিমবঙ্গ, পশ্চিম বাংলাদেশ হতে বেশি সময় লাগবে না। সীমান্তবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই অত্যাচার শুরু হয়ে গেছে। হিন্দুদের জমি দখল, রাস্তা দখল, হিন্দু মেয়েদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করা ইত্যাদি ।’
তিনি আরও বলেন,’ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যে কারণে পশ্চিমবঙ্গকে পূর্ব বঙ্গ থেকে আলাদা করেছিলেন, আজ দেখা যাচ্ছে সেই ঘটনার ৬০-৭০ বছরের মধ্যেই আবারও ভিটে মাটি হারাতে বসেছি আমরা।’ শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, ঝাড়খন্ডে বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগের সুর শোনা গেছে দিলীপবাবুর গলায় ।।