এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,২৯ নভেম্বর : বর্তমানে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা সংখ্যাগুরু মুসলিমদের অবর্ণনীয় অত্যাচারের মুখোমুখি হচ্ছে । শারিরীক নির্যাতন তো আছেই, তার উপর প্রায় প্রতিদিনই হিন্দু মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে মুসলিমরা । ভাঙচুর করা হচ্ছে দেবদেবীর প্রতিমাও । তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, এপার বাংলাতেও মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাওয়া যাচ্ছে মাঝে মধ্যেই । দুর্গাপূজা, কালীপূজা,লক্ষ্মীপূজো থেকে শুরু করে কার্তিক পূজা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন জেলায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য ৷ এবারে বীরভূম জেলার সিউড়ি-২ ব্লকের ইন্দ্রগাছা মোড় এলাকায় বজরংবলীর মূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বারবার হিন্দুদের আস্থার উপর হামলার জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ি করেছেন ।
শুভেন্দু অধিকারী আজ শুক্রবার এক্স-এ বজরংবলীর মূর্তি ভাঙচুরের ভিডিও পোস্ট করেছেন । ভিডিও অনুযায়ী, সড়কপথের ঠিক পাশেই রয়েছে ওই মন্দিরটি । মন্দিরের ভিতরে দেব বিগ্রহটি মুখ থুবরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে । বিরোধী দলনেতা লিখেছেন,’গত রাতে দুষ্কৃতীরা বীরভূম জেলার সিউড়ি -২ ব্লকের ইন্দ্রগাছা মোড়, পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবান হনুমান মন্দির ভাঙচুর করেছে। এমনকি তারা বজরঙ্গবলীর মূর্তিকেও অপমান করেছে। হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর এখন পশ্চিমবঙ্গে একটি উদ্বেগজনক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। আমি শ্রী রাজীব কুমারকে (আইপিএস) অনুরোধ করছি; যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য ।’ তাঁর অভিযোগ,’পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ডিজিপি ড. সনাতনী মন্দির ভাংচুরের সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনিচ্ছার কারনে তাদের বারবার সনাতনী সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করতে উৎসাহিত করেছে। এই অপরাধীদের আইনের বিধান অনুযায়ী মোটামুটি শাস্তি দেওয়া উচিত যাতে এটি ভবিষ্যতে অন্যান্য দুর্বৃত্তদের ঠেকাতে পারে ।’
প্রসঙ্গত,সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় কার্তিক পূজোয় আলোকসজ্জা নিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছিল । সেই সময় একটা কার্তিক প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় । আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পূজো মণ্ডপে । তার আগে হাওড়ার শ্যামপুরে একটা দুর্গাপূজো কমিটির প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এবং মণ্ডপে আগুন লাগানোর অভিযোগও ওঠে৷ ইসলামের নবীর ছবি আঁকার অপরাধে সেই হামলা চালানো হয় বলে খবর ৷ গত ফেব্রুয়ারী মাসের শেষের দিকে রাতের অন্ধকারে হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকার ৫ টি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়৷ শুভেন্দু অধিকারী তখন অভিযোগ তুলেছিলেন যে সনাতনী মন্দির ভাঙচুরের সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ক্রমাগত অনিচ্ছা তাদেরকে বারবার সনাতনী সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করতে উৎসাহিত করেছে।।