এইদিন ওয়েবডেস্ক,শেরপুর,২৮ নভেম্বর : আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের শেরপুর সদরে দোজা পীরের দরবারে হামলার ঘটনা ঘটেছে । হামলা চালিয়েছে স্থানীয় মুর্শিদপুরের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা । লাঠি সোটা নিয়ে পীরের দরবারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর এবং গেদার লুটপাট করা হয় । পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় । ঈদের অনুগামী এবং মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের সংঘর্ষে মোট ১৩ জন আহত হয়েছে । আহতদের মধ্যে বুধবার ভোরে হাফেজ মিয়া নামে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় । হামলার সময় ঘটনাস্থলে বাংলাদেশের র্যাফ,পুলিশ এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী মজুদ ছিল । কিন্তু কয়েক হাজার মুসলিম জনতা হামলা চালানো তারা কার্যত নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করে ।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়া আসার পর থেকেই অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে ওই পীরের দরবার বন্ধ করার জন্য জোরদার দাবি তুলেছিল স্থানীয় বাসিন্দারা । মীমাংসার জন্য স্থানীয় প্রশাসন দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে । কিন্তু সেই আলোচনা ব্যর্থ হয় । এরপর মঙ্গলবার ভোররাতে মুর্শিদপুরের কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা ওই পীরের দরবারে হামলা চালিয়ে দেয় । পীরের অনুগামী এবং মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে । মাদ্রাসার ছাত্রদের বেদম পিটিয়ে দেয় পীরের অনুগামীরা । প্রায় ১৩ জন ছাত্র আহত হয় । তাদের মধ্যে বুধবার ভোরে হাফেজ মিয়া নামে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ।
জানা গেছে, মৃতকে কবরস্থ করার জন্য আজ বৃহস্পতিবার মৃতদেহ নিয়ে একটা মিছিল বের হয়েছিল । মুর্শিদপুর- শেরপুর সড়কপথ ধরর সেই মিছিল পীর দরবারের কাছাকাছি এলে মৃতদেহ সড়ক পথের উপর ফেলে রেখে মাজারে হামলা চালিয়ে দেয় অন্তেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা লোকজন । চলে ভেজাল লুটপাট এবং ভাঙচুর । লুটপাট শেষে ওই মাজারেতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রেপ ও পুলিশ বাহিনী । কিন্তু কয়েক হাজার সশস্ত্র মুসলিম জনতাকে দেখে তারা দাঙ্গা থামানোর সাহস করেনি । দেখে পাঠানো হয় বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবিকে । বিজিবির একটা দল কিছুক্ষণ পরই সেখানে ছুটে আসে । কিন্তু সশস্ত্র গ্রামবাসীদের দেখে তারাও পিছু হটে৷ নিরাপত্তা বাহিনীর সামনেই মাজারে দেদার লুটপাট চলে । দরবারের গরু-মোষ এবং টেবিল ফ্যান থেকে শুরু করে বাসনপত্র পর্যন্ত বগলদাবা করে নিয়ে পালিয়ে যায় জিহাদীরা । এই ঘটনার জেরে মুর্শিদপুর- শেরপুর সড়কপথে আজ বিকেল তিনটে পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ।।