শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৬ নভেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের এক অসহায় মহিলা টোটো চালকের পাশে দাঁড়ালেন স্থানীয় নেতৃত্বসহ বহু সহৃদয় মানুষ । সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী,তৃণমূলের ব্লক সহসভাপতি অশোক কুমার হাজরা সহ স্থানীয় মানুষজন। এবার অসহায় সুস্মিতার বাড়িতে সুদূর কলকাতার এক সমাজসেবী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) । নানান ভাবে এই অসহায় পরিবারকে সাহায্য করেছেন। উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমানের ভাতার গ্রামের বাসিন্দা সুস্মিতা রোমের ভাতারের ভাটাকুল গ্রামে বছর ছয়েক আগে বিবাহ হয়। শ্বশুরবাড়িতে সুখ হয়নি সুস্মিতার।বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই আশ্রয় নিতে হয়েছে তাকে । বছর দুয়েক আগে স্বামীর মৃত্যুর খবর আসে সুস্মিতার কাছে । বাবা ছিলেন টোটো চালক। মাস দেড়েক আগে হৃদরোগে বাবারও মৃত্যু হয়। মায়ের ও চোখে দৃষ্টি শক্তি কম। সংসারের সমস্ত দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নিয়ে ভাতার বাজারে বিশেষ চাহিদা পণ্য শিশুকে বুকে নিয়ে টোটো চালাতে শুরু করেন সুস্মিতা। দিনের শেষে যা রোজগার হয় তাতেই কোনরকমে সংসার চালান সুস্মিতা। অসহায় সুস্মিতার জীবন কাহিনী বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই সুস্মিতার পাশে দাঁড়ান বিশিষ্টজনেরা। আবাস তালিকায় সুস্মিতার পরিবারের নাম না থাকায় ভাতার বিধানসভার বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ব্যক্তিগত উদ্যোগে সুস্মিতার পরিবারের জন্য পাকা বাড়ির নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ইতিমধ্যেই নির্মাণ সামগ্রী সুস্মিতার বাড়িতে পৌঁছাতে শুরু করেছে। পাশাপাশি সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক মান গোবিন্দ অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সহসভাপতি অশোক কুমার হাজরা ও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নগদ অর্থসহ বেশ কিছু খাদ্য সামগ্রী সুস্মিতার পরিবারের হাতে তুলে দেন। অসহায় এই পরিবারকে সব রকম সহযোগিতার আশ্রয় দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি এবার সুস্মিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন কলকাতার লেকরোডের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী । মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সুস্মিতার বাড়িতে হাজির হন। সুস্মিতার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কন্যা সন্তানের চিকিৎসার নথি খতিয়ে দেখেন তিনি। ডাক্তার বাবুদের প্রেসক্রিপশন ও রিপোর্ট সংগ্রহ করেন। কয়েক ঘন্টা ধরে সুস্মিতার জীবন কাহিনী ও পারিবারিক সমস্ত বিষয়ে খুটিনাটি জানতে চান তিনি। তবে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। সুস্মিতা বলেন,’কলকাতার এক বিশিষ্ট সমাজসেবী তাঁর বাড়িতে এসে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন তাঁর কন্যা সন্তানের ও তাঁর মায়ের যাবতীয় চিকিৎসার প্রমাণপত্র নিলেন। বেশ কিছু অর্থ সাহায্যের পাশাপাশি নানান খাদ্য সামগ্রী তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন। গোষ্ঠীর লোনের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’।