এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৫ নভেম্বর : ভারতের গুটিকয়েক সাংবাদিক আছেন যাদের মূল এজেন্ডা হল ‘হিন্দু ও ভারত বিদ্বেষ’৷ কথিত সেকুলার ও বামপন্থীরা তাদের কার্যত ‘বিপ্লবী’ তকমা দিয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দেয় । এমনই এক সাংবাদিক হলেন আরফা খানম শেরওয়ানি (Arfa Khanum Sherwani)৷ তার এক্স হ্যান্ডেলের প্রোফাইলে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি বামপন্থী নিউজ পোর্টাল ‘দ্য ওয়্যার’-এর সিনিয়র এডিটর । নিজেকে সেকুলার দাবি করা এই সাংবাদিক আদপে একজন কট্টর ইসলামি মানসিকতার মহিলা বলে অভিযোগ ওঠে ৷ কারন তাকে প্রায়ই ভারত ও হিন্দু বিদ্বেষী পোস্ট করতে দেখা যায়৷ ফের একবার হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষ উগরে দিয়েছেন আরফা খানম শেরওয়ানি৷
আসলে আদালতের নির্দেশে রবিবার উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলার জামে মসজিদে সমীক্ষা করতে যায় একটা দল । কিন্তু স্থানীয় মুসলিম জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক পাথরবাজি করে । তাতে বহু পুলিশকর্মী আহত হন । আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটা গাড়িতে । পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় দুর্বৃত্তরা । পালটা গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয় । অনেকে দাবি করছেন যে প্রায় ২০০০ মুসলিম জনতা, তার মধ্যে অধিকাংশ বহিরাগত মিলে পরিকল্পিত ভাবে এই হিংসা ছড়িয়েছে৷
যদিও উত্তরপ্রদেশের সম্বলে হিংসার ঘটনায় নতুন মোড় দিয়ে ইসলামি সাংবাদিক আরফা খানম শেরওয়ানি আবারও প্রকাশ্যে তার হিন্দু বিদ্বেষ প্রকাশ করেছেন। তিনি খুব চতুরতার সাথে তার টুইটে মসজিদটি জরিপ করতে যাওয়া দলটির উপর হামলার ঘটনাটি লুকিয়েছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন যে এই সহিংসতা ঘটেছে কারণ ‘সংঘীরা’ এখন প্রতিটি মসজিদের নীচে শিবলিঙ্গের সন্ধান শুরু করেছে এবং সেজন্য আদালতগুলি মসজিদে জরিপও করা হচ্ছে।
তার একটি টুইটে, আরফা খানম শেরওয়ানি অযোধ্যায় ইসলামিক মৌলবাদীদের পাথর নিক্ষেপ এবং সহিংসতাকে মহান হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আরফা তার টুইটে লিখেছেন,’ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ভারতের মুসলমানদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে অযোধ্যা শুধুমাত্র একটি ব্যতিক্রম হবে। মুসলমানরা তাদের হৃদয়ে একটি পাথর স্থাপন করে এবং তাদের দেশের শান্তির জন্য একটি মসজিদ উৎসর্গ করেছিল। এখন ফেডারেল আদালত ‘প্রতিটি মসজিদের নিচে শিবলিঙ্গ’ খুঁজে বের করার সবুজ সংকেত দিচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রতিশ্রুতিও কি মিথ্যে হয়ে গেল?
তার পরবর্তী টুইটে আরফা খানম শেরওয়ানি পুলিশকে খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন এবং দেখিয়েছেন যে পুলিশ অকারণে মুসলমানদের দিকে বন্দুক তাক করছে এবং জয় শ্রী রাম বলে মুসলমানদের নয়, হিন্দুদের ওপর হামলা করছে। আরফা লিখেছেন,’এসো, গুলি করো! এক ঘণ্টার মধ্যে শত বছরের পুরনো মসজিদের ‘জরিপ’ চালাচ্ছেন সঙ্ঘী বিচারকরা। ‘জরিপ দল’ আইনের বই নয়, জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে মসজিদের দিকে যাত্রা করছে। সাংঘি পুলিশ গুলি চালাচ্ছে। এই সহিংসতা ও অবিচারের মাটিতে দাঁড়িয়েই কি বিশ্বগুরু হবেন ?’
ওপি ইন্ডিয়া পালটা লিখেছে,কিন্তু ইসলামিক সাংবাদিক আরফা খানুম শেরওয়ানির এই দুটি টুইটের সাথে বাস্তবতার কোন সম্পর্ক নেই, তাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় জনতার উন্মাদনাকে রক্ষা করা এবং তাদের হতাশা প্রকাশ করা। তিনি তার টুইটে বলছেন যে পুলিশ গুলি চালিয়েছে, কিন্তু জনতা কীভাবে ছাদ থেকে পারবাজি এবং পুলিশকে আক্রমণ করেছে তা তিনি বলছেন না।
আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে তার টুইটে একদিকে তিনি বলছেন যে মুসলমানরা তাদের মসজিদ কোরবানি দিয়েছে, যেখানে বাস্তবতা হল অযোধ্যা রামজন্মভূমি ৩০ বছরের আইনি লড়াইয়ের পরে হিন্দুরা জিতেছে, সেখানে শান্তি বজায় রাখার জন্য কোনও মুসলমান সেই জমিটি বলি দেয়নি। দেশ শান্তির জন্য হিন্দুদের দেওয়া হয়নি। কারসেবকরা সেই জমির জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং তাদের রক্ত ঝরিয়েছেন, তবেই তারা একই জায়গায় তাদের মন্দির ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে,এটা লক্ষণীয় যে সম্বল মামলায়, শুধুমাত্র ইসলামিক সাংবাদিকরাই নয়, ইসলামী নেতারাও সহিংসতার জন্য হিন্দুদের দোষারোপ করতে পিছপা হচ্ছেন না। প্রাক্তন এমপি শহীদ সিদ্দিকী তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, এই লোকেরা যদি প্রতিটি মসজিদের নিচে শিবলিঙ্গ অনুসন্ধান করে তাহলে দেশ ও সমাজে শান্তি থাকবে না। সম্ভবত এই ধরনের সাংবাদিক ও নেতাদের মতে, আজকের সময়ে হিন্দুদের তাদের আইনগত অধিকার প্রয়োগ করেও তাদের ধর্ম ও ধর্মীয় স্থানের পক্ষে কথা বলা উচিত নয়, তাদের বলা উচিত নয় কিভাবে ইসলামী বর্বরতার কারণে হাজার হাজার মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছিল, তাদের ধ্বংসাবশেষ কিন্তু মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। তাদের আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে মসজিদের দেয়াল থেকে শুধু হিন্দু মন্দিরের নিদর্শনই মুছে যাবে না, ‘গঙ্গা-যমুনি সংস্কৃতির’ বাস্তবতাও উন্মোচিত হবে।।