শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৩ নভেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের বনপাসে বিনা টেন্ডারে এবং যথাযথ অনুমতি ছাড়াই রাস্তার পাশে পঞ্চায়েতের লাগানো বড় বড় গাছ কেটে হাপিশ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । কে বা কারা এহেন বেআইনি কাজ করেছে তা নিয়ে ধন্দ্বে খোদ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান চম্পা আরশ । তবে এই ঘটনায় তার দলেরই এক নেতার নাম জড়িয়েছে বলে খবর । ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায় । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে ওই টাকা উদ্ধার করে পঞ্চায়েতের ফান্ডে জমা করা হোক ।
জানা গেছে ,ভাতার থানার বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবোনা গ্রাম যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে কয়েক বেশ বছর আগে পঞ্চায়েত থেকে কিছু ইউক্যালিপটাস ও সোনাঝুরি গাছ লাগানো হয়েছিল ৷ তার মধ্যে প্রায় আটটি পরিণত গাছ কেটে হাপিশ করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ । কিন্তু সেই গাছ কারা কাটলো এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমবোনা এলাকার বাসিন্দা খোকন নায়েক নামে এক কাঠ ব্যবসায়ী বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতে সেই গাছগুলি মালিকানার দাবি জানিয়ে গাছগুলি কাটার জন্য এনওসি( নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। এ বিষয়ে খোকন নায়কের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হলে তিনি গাছ কাটার কথা স্বীকার করলেও আবেদনপত্রে স্বাক্ষরের কথা অস্বীকার করেন। তিনি আরোও জানিয়েছেন পঞ্চায়েতের নির্দেশেই গাছ কেটে বিক্রি করে কোন এক শাসকদলের এক নেতার হাতে সেই টাকা দিয়েছেন । এখন প্রশ্ন যে কে ওই নেতা ? কেনই বা পঞ্চায়েত প্রধান কোনো পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী নন?
যদিও আমবোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা চন্দনা দাস বলেন,’টেন্ডার ছাড়াই ৭-৮ টি গাছ ৩৬ হাজার টাকার বিনিময়ে কাটা হয়েছে বিষয়টি সবাই জানেন।’ অবশ্য সরকারি গাছ কাটার টাকা কার পকেটে ঢুকেছে সে বিষয় তিনি কোনো মন্তব্য করেননি । এ বিষয়ে বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চম্পা আরশ বলেন,’স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার মাধ্যমে রাস্তার উপর গাছ কাটার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের একটি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। তাঁকে সেই সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়েছে । তবে গাছগুলি কারা কেটেছে আমার জানা নেই।’।