এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,২১ নভেম্বর : পশ্চিমবঙ্গের মালদা থেকে চলছিল প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে ভারতীয় জাল নোট পাচারের ষড়যন্ত্র । আর সেই ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড হল মালদার জাকির । গত ১৯ নভেম্বর বারাণসীর সারনাথ থেকে মহম্মদ সুলেমান আনসারি ও ইদ্রিশ আলিকে ১.৯৭ লক্ষ টাকার জাল নোট সহ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) গ্রেফতার করার পর এই তথ্য সামনে এসেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ওপি ইন্ডিয়া । প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,তদন্তকারী দল জানতে পেরেছে যে মালদার জাকির এই চক্রের মূল পান্ডা । সে বাংলাদেশ থেকে জাল নোট এনে সুলেমান ও ইদ্রিসকে দিত । তারপর দুজনে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় তা সরবরাহ করত। সুলেমান ও ইদ্রিশ বিহারের বৈশালী জেলার বাসিন্দা। মালদায় যানবাহনের টায়ার সারানোর কাজ করত সুলেমান। সেই সময় সে জাকিরের সংস্পর্শে আসেন। এর আগে একবার বিহার পুলিশের হাতে ২ লাখ টাকার জাল নোটসহ ধরা পড়েছিল সুলেমান । প্রায় ৬ মাস হাজীপুর কারাগারে বন্দি ছিল সে । বেরিয়ে এসেই সে ফের অসামাজিক কর্মকাণ্ড শুরু করে । জাকিরের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইউপি এটিএস । সুলেমান ও ইদ্রিসকে গ্রেপ্তারের পর সারনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন এটিএস পরিদর্শক ভারত ভূষণ তিওয়ারি। তিনি তাতে জানিয়েছেন যে এই মারাত্মক ষড়যন্ত্রে মালদহের জাকির ও বৈশালীর মহম্মদ সুলেমানের জড়িত থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গত ১৯ নভেম্বর ইউপি এটিএস তথ্য পায় যে কিছু লোক পশ্চিমবঙ্গ থেকে জাল নোটের চালান নিয়ে বারাণসীতে একটি ট্রেনে উঠেছে। সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এদিকে ফরিদপুর বাইপাসে দুইজনকে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পুলিশকে দেখতে পেয়েই দু’জনে দৌড়াতে শুরু করে। ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে একজন তার নাম মহম্মদ সুলেমান আনসারি (৬৭) বলে জানায়। তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, প্যান কার্ড, নগদ টাকা ও রেলের টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে। অপরজন তার নাম বলে ইদ্রিস আলি । তার কাছ থেকে রেলের টিকিট ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তল্লাশির সময় তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার জাল নোটের বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। দু’জনেই জানিয়েছে, ২ দিন আগে তাঁরা বৈশালী থেকে মালদহ গিয়েছিলেন। এখানেই জাকির তাকে প্রায় দুই লাখ টাকার জাল নোট দেয়। ৩০ হাজার টাকার আসল নোটের পরিবর্তে তারা ১ লাখ টাকার জাল নোট পেত ।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জাল নোট উদ্ধারের পর তারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিভিন্ন গাড়িতে করে ফিরে আসে। তারা এই নোটগুলি বারাণসীতে পাচার করতে যাচ্ছিল । এর পরে, যা কিছু নোট বাকি ছিল, তারা দুজনেই আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হতে চলা মহাকুম্ভে ব্যয় করবে বলে পরিকল্পনা করেছিল । গ্রেফতারের আগে তারা দু’জনই পথে চা ও অল্পসল্প কেনাকাটায় জাল নোট ব্যবহার করেছিল বলে কবুল করেছে ।।