এইদিন ওয়েবডেস্ক,কৃষ্ণনগর,২০ নভেম্বর : সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার হিন্দুদের খবর নিতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হলো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে । পুলিশ দাবি করেছে যে সুকান্ত মজুমদার বেলডাঙ্গায় গেলে নাকি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে । পুলিশের এই আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেছেন,’পশ্চিমবঙ্গের মাটিকে বাঙালি হিন্দুদের জন্য বধ্যভূমিতে পরিণত করেছেন মমতা ব্যানার্জি । তাকে না সরালে আগামী দিনে পশ্চিমবাংলার প্রতিটি জায়গায় দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস্ক আমরা দেখতে পাবো৷’ তিনি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজে লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মাটিকে বাঙালি হিন্দুদের জন্য বধ্যভূমিতে পরিণত করেছেন রাজ্যের নির্লজ্জ, তোষণকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় নিরীহ হিন্দুদের উপর মৌলবাদীদের অকথ্য অত্যাচারেও নিশ্চুপ মমতার ক্রীতদাস পুলিশ বাহিনী। আজ বেলডাঙা পৌঁছানোর আগেই কাপুরুষের মতো আমাদের আটকে দিল চাটুকার প্রশাসন। বেলডাঙা হোক কিংবা শ্যামপুর, পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে প্রতিটি বাঙালি হিন্দুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।’
জানা গেছে,আজ বুধবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার উদ্দেশ্যে রওনা হন সুকান্ত মজুমদার । কিন্তু কৃষ্ণনগরে তাঁকে ব্যারিকেড করে আটকে দেয় পুলিশ । সুকান্ত মজুমদার জানান যে তিনি সহ ৪৮ জন বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তাদের বন্ডে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছে । পরে সকলকে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালী থানা থেকে ছাড়া হলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং রাজ্য পুলিশের ভূমিকা তীব্র সমালোচনা করেছেন সুকান্ত । তিনি বলেছেন, ‘যেখানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার(বিএনএস) ১৬৩ ধারা লাগু ছিল সেখান থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে আমাদের আটকে গ্রেফতার করে রাখা হয় । মমতা ব্যানার্জিকে না সরালে আগামী দিনে পশ্চিমবাংলার প্রতিটি জায়গায় দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস আমরা দেখতে পাবো৷’
পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রকাশ করে সুকান্ত বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পুলিশ যদি গ্রেপ্তার করতে না পারে তাহলে এই অপদার্থ পুলিশের থাকার কোন দরকার নেই। যখন পুলিশের সামনে হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙ্গা হচ্ছে…আপনার আমার পুলিশ… মমতা ব্যানার্জির পুলিশ, হাওয়াতে একটা ফায়ার পর্যন্ত করতে পারছে না । মানুষকে লক্ষ্য করে চালাতে বলছি না,শুণ্যে তো গুলি চালাবে, সেটাও পারছে না ।’
ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সুকান্ত বলেন,’হুমায়ুন কবির আসলে মমতা ব্যানার্জির প্ল্যানিংটা বলে দিয়েছে । মুর্শিদাবাদে বিএসএফের চৌকি করার জন্য মমতা ব্যানার্জির জায়গা দেয়নি । আর এই জায়গা দিয়ে বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশকারী ঢোকাচ্ছেন উদ্দেশ্য একটাই জনবিন্যাসের পরিবর্তন করা । ভারতীয় মুসলিমদের নিয়ে কারোর কোন সমস্যা নেই । কিন্তু বাংলাদেশী মুসলিমদের এভাবে মমতা ব্যানার্জি বাংলাতে ঢোকাচ্ছে এবং যারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অধিকারে ভাগ বসাচ্ছে আর জনবিন্যাসের পরিবর্তন করে বাংলায় নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করছেন মমতা ব্যানার্জি ।’ সুকান্ত মজুমদার জানান যে ১৪৪ ধারা ওঠার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি বেলডাঙায় যাবেন ।।