এইদিন স্পোর্টস নিউজ,১৮ নভেম্বর : চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫ এর এবারের আয়োজক দেশ ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তান । ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে তারা নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসীদের আঁতুরঘর পাকিস্তানে তাদের খেলোয়াড়দের পাঠাবে না । এদিকে পাকিস্তান একটা বিতর্কিত কান্ড করে বসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচের আয়োজন করে । যদিও ভারতের আপত্তিতে তাদের পিছিয়ে আসতে হয়েছে । তবে এখনো পর্যন্ত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি ঘোষণা করা হয়নি । সূচি ঘোষণার শেষ সময় ১৯ নভেম্বর। এমতবস্থায় আদপেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পাকিস্তানে হবে কিনা তা নিয়ে ধন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে । এদিকে পাকিস্তানি গণমাধ্যম দাবি করেছে যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে লাইনচ্যুত করার জন্য গোপন পদক্ষেপ নিচ্ছে। গণমাধ্যমটি একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, বিসিসিআই টুর্নামেন্টের বর্তমান হোস্টিং ব্যবস্থার বিরোধিতা করার জন্য লোভনীয় আর্থিক প্রস্তাব দিয়ে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারত নিরাপত্তা ইস্যুকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেও, তারা গোপনে অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডকে হাইব্রিড মডেল অথবা টুর্নামেন্টটি ভারতে স্থানান্তরের জন্য সমর্থন দিতে রাজি করানোর চেষ্টা করছে। ভারতীয় বোর্ড আইসিসির আয়ের একটি অংশ এবং অতিরিক্ত আর্থিক প্রণোদনা এবং ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতীয় দলের সঙ্গে অতিরিক্ত ম্যাচের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বোর্ডগুলোকে আকর্ষণ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে আইসিসি কর্মকর্তারা বিসিসিআইসহ সকল সদস্য বোর্ডের সঙ্গে এখন পর্যন্ত আলোচনা অব্যহত রেখেছে। আইসিসি জোর দিয়ে জানিয়েছে, চূড়ান্ত সূচি সব অংশগ্রহণকারী দল এবং বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারিত হবে। আর এটি কোনোভাবেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কারণে প্রভাবিত হবে না। সবশেষ খবর অনুযায়ী, পিসিবি কর্মকর্তারা আইসিসি এবং বিসিসিআই-কে জানিয়েছেন যে, যদি ভারত পাকিস্তানে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে ভারতের বদলে একটি শক্তিশালী দল যুক্ত করে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী টুর্নামেন্ট পরিচালিত হবে। কিন্তু ভারতকে চটিয়ে ‘দরিদ্র’ পাকিস্তানের এই প্রস্তাব আইসিসি আদপেই গ্রহণ করবে কিনা সে নিয়ে সন্দেহ আছে । কারন পাকিস্তানের প্রস্তাব যদি মেনে নেয় সেক্ষেত্রে প্রচুর আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে হবে আইসিসিকে ।।