এইদিন ওয়েবডেস্ক,নদীয়া,১৮ নভেম্বর : রবিবার নদীয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানা এলাকার উসিদপুরের বাসিন্দা একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে বাড়ির পিছনে বাগান থেকে। মাধব সর্দার(৩৮) নামে ওই সিভিকের স্ত্রী পুষ্পরানি সর্দার ক্যামেরার সামনে অভিযোগ করেছেন যে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান অসিত বিশ্বাসের হুমকির ভয়েই তার স্বামী আত্মঘাতী হয়েছেন । একটা হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যের এই প্রকার করুন পরিণতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ‘নৃশংস’ ও ‘রক্তপিপাসু’ বলে অবিহিত করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ।
তিনি নিহত যুবকের স্ত্রীর বক্তব্যের ভিডিও এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন,,’স্তম্ভিত! গ্রামের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার হুমকিতে শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হতে হল একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে! নদীয়ার উসিতপুর অঞ্চলে মাধব সর্দার নামের ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের শোকসন্তপ্তা স্ত্রী অভিযোগ করছেন, গ্রামের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানের লাগাতার হুমকির মধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তাঁর স্বামী। তার পরেই আজ ভোর নাগাদ এই চরম সিদ্ধান্ত সিভিকের। রাজ্যের নৃশংস, রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দুষ্কৃতী সংরক্ষণের নীতির জন্য ভেসে গেল বাংলার আরও একটি পরিবার। ছিঃ!’
জানা গেছে,কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার অধীনে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করতেন মাধব সর্দার । সাধারণত স্থানীয় হরিহর মন্দিরে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতেন তিনি । স্থানীয় তৃণমূল নেতা অসিত বিশ্বাসের সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে বিবাদ চলছিল মাধবের । তার জেরে ওই তৃণমূল নেতা মাধবকে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ কেড়ে নেওয়ার হমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ । এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মাধব । শেষ পর্যন্ত তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হন বলে মন্তব্য করেছেন মৃতের স্ত্রী পুষ্পরানি সর্দার ।
পুষ্পরানি সর্দার বলেছেন,’প্রাক্তন প্রধান আমার স্বামীকে ভয় দেখিয়েছিল । তবে কি কারনে উনি ভয় দেখিয়েছিলেন তা আমায় বলেননি । তার জেরে রবিবার ভোর প্রায় ৫ টা নাগাদ বাড়ির পিছনে একটা আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি ।’ জানা গেছে,খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।।