প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৭ জুলাই : বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ৪ ব্যক্তি ।ধৃতরা হলেন রহিম শেখ, শেখ হারুন আলি, সামন্ত মণ্ডল ও নাসিরউদ্দিন মল্লিক ওরফে আনন্দ । পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার দৈয়র গ্রামে ধৃতদের বাড়ি । এই হামলার ঘটনায় খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের নামও জড়িয়েছে।খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে অপার্থিব ইসলাম বাদে চারজনকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে । সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার চার ধৃতকেই পেশ করে বর্ধমান আদালতে । লুটপাট হওয়া সামগ্রী উদ্ধারের জন্যে পুলিশ ধৃতদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন আদালতে জানায়নি । সিজেএম ধৃতদের বিচারবিভাীয় হেপাজতে পাঠিয়ে মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, খণ্ডঘোষের দৈয়র গ্রামে বাড়ি বিজেপি সমর্থক আব্বাসউদ্দিন মিদ্যার। তার অভিযোগ বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পরদিন তৃণমূলের লোকজন তাঁর বাড়িতে হামলা ,ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তাঁর বাড়ি থেকে ৩টি গোরু, সোনার গয়না ও ৮০ হাজার টাকা লুট করা হয় । মারধরের ভয়ে ওই দিনই আব্বাসউদ্দিন ও তাঁর ছেলে ঘর ছাড়া হন । হাইকোর্টের নির্দেশের পর পুলিশ আব্বাসউদ্দিন ও তাঁর ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে দেয় । অভিযোগ এরপর ২৫ জুন সন্ধ্যায় তৃণমূলের লোকজন ফের তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় । ভয়ে ফের ঘরছাড়া হন আব্বাসউদ্দিন ও তাঁর ছেলে । তাঁদের না পেয়ে আব্বাসউদ্দিনের স্ত্রী আনুশা মিদ্যা ও মেয়ে রেহেনা খাতুনকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ।
আগের দিনের হামলা মারধরে আনুশার পা ভাঙে । দ্বিতীয় দিন সেই অবস্থার মধ্যেই তাঁকে ফের মারধর করা হয় । মারধরের পর তৃণমূলের লোকজন পালিয়ে যায় । জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের টিমকে আনুশা ঘটনার কথা জানানোর পাশাপাশি কমিশনের কাছেও অভিযোগও দায়ের করেন । কমিশন বিষয়টি দেখার জন্য জেলা গোয়েন্দা দপ্তরকে বলে। গোয়েন্দা দপ্তরের নির্দেশে খণ্ডঘোষ থানা মামলা রুজু করে চার জনকে গ্রেপ্তার করে । হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ আনুশা এবং তাঁর মেয়ের গোপন জবানবন্দি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করায় ।।