এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইম্ফল,১৬ নভেম্বর : মণিপুরে দুই শিশু ও এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সম্ভবত তারা হিন্দু মেতেই( Meitei) সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। কয়েকদিন আগে জিরিবাম ক্যাম্প থেকে অপহৃত হওয়া ৬ জনের মধ্যে এরা থাকতে পারে। এরপর তাদের ছবি মুক্তি পায়। তবে পরিবারের সদস্যরা এখনো লাশ শনাক্ত করতে পারেনি। এসব লাশ জিরি নদীতে ভাসতে দেখা যায় ।
আসাম পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে মণিপুরে উদ্ধার হওয়া তিনটি মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য শিলচর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা । এরপর আসাম রাইফেলসের জওয়ানরা দেহগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।যে জায়গা থেকে এসব লাশ উদ্ধার হয় সেই স্থানের নাম জিরিমুখ। এখানে জিরি নদী বরাক নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, পরিবারের সদস্যরা এখনও মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেনি, তবে নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে তিনজনের সাথে তাদের বর্ণনা মিলেছে।
মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১১ খ্রিস্টান কুকি সন্ত্রাসী খতম হওয়ার পর ১২ নভেম্বর মেইতেই সম্প্রদায়ের দুই সদস্যের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে ৬৩ বছর বয়সী লাইশরাম বালেন সিং এবং ৭১ বছর বয়সী মাইবাম কেশো সিং। যেখানে এনকাউন্টারের পর নিখোঁজ ছিল আরও ৬ জন।
প্রসঙ্গত,গত ১১ নভেম্বর, মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনী একটি বড় অভিযানে ১১ সশস্ত্র কুকি সন্ত্রাসীকে খতম করেছিল। এই সন্ত্রাসীরা জিরিবাম জেলার বোরোবেকারা এলাকায় একটি থানায় হামলা করতে এসেছিল। কিন্তু তারা জিরিবামের সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই হামলায় এক সিআরপিএফ জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন।
এদিকে কুকি সন্ত্রাসীদের দ্বারা অপহৃত হওয়া ছয় জনকে উদ্ধার করার চলমান অভিযানে, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাহিনীর একটি যৌথ দল মণিপুরের জিরিবাম জেলায় অস্ত্র ও গোলাবারুদের আরেকটি ভান্ডার আবিষ্কার করেছে। ১১ নভেম্বর একই জেলার জাকুরাধোর করং-এ দশজন জঙ্গিকে নির্মূল করার সময় ছয়জনকে অপহরণ করার পর এই অভিযান চালানো হয়।বৃহস্পতিবার মণিপুরের জিরিবাম জেলার জিরিবাম থানার আওতাধীন চম্পানগর গ্রামে অসামাজিক উপাদানের হাতে বন্দী ছয় ব্যক্তির উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ইনপুট অনুসরণ করে দলটি অভিযান শুরু করে। যদিও এলাকায় কোনো ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়নি, তারা চম্পানগরের একটি পরিত্যক্ত ক্যাম্প থেকে দুটি ডাবল ব্যারেল ১২ বোরের বন্দুক, একটি ২ ইঞ্চি মর্টার, ৩৬ টি জীবন্ত ব্যারেল কার্তুজ এবং পাঁচটি খালি ব্যারেল কার্তুজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত জিনিসপত্র পরে প্রয়োজনীয় তদন্তের জন্য জিরিবাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।।