এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,১২ নভেম্বর : রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনাক্রমের মাঝে এবারে পারিবারিক যৌন নিপিড়নের শিকার হল বীরভূম জেলার বোলপুরের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী । বছর ১৮-এর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই এক পিসতুতো দাদার বিরুদ্ধে । সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শফিকুল শেখ নামে নির্যাতিতার দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । শফিকুলকে প্ররোচিত করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে নির্যাতিতার ৩ কাকা মুনতাজ শেখ, ইনতাজ শেখ ও সুতাজ শেখ । সোমবার ধৃতদের বোলপুর আদালতে তোলা হলে সকলকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে । পাশাপাশি নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা ও বিচারক সমরজিৎ রায়ের সামনে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে তার ।
একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা গেছে, নির্যাতিতার -বাবা কর্মসূত্রে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে থাকেন। দাদুর কাছে থেকে পড়াশোনা করে মেয়েটি । অন্যদিকে ঘটনার মূল অভিযুক্ত শফিকুল শেখ কর্মসূত্রে বাইরে থাকতেন । বিগত ৪ বছর ধরে পিসির ছেলে শফিকুল শেখের সঙ্গে ওই যুবতীর সম্পর্ক ছিল বলে খবর । শনিবার বাড়ি ফেরে শফিকুল । ওই দিনই গভীর রাতে মেয়েটির ঘরে চলে যায় সে । গোটা রাত সেখানে থাকার পর পরের দিন রবিবার সকালে বাড়ি চলে যায় । এদিকে শফিকুল বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই থানায় গিয়ে নিজের পিসতুতো দাদার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রজু করেন নির্যাতিতা । পাশাপাশি তাকে প্ররোচিত করার অভিযোগ তোলেন নিজের ৪ কাকার বিরুদ্ধে । অভিযোগ দায়ের হতেই মূল অভিযুক্ত সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । মেয়েটির এক কাকা বাইরে থাকায় পুলিশ এখনো তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি । এদিকে পুলিশের জেরায় শফিকুল নিজের কু-কীর্তির কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে ।।