এইদিন স্পোর্টস নিউজ,০৯ নভেম্বর : গত অক্টোবরে উয়েফা নেশন্স লিগে ফ্রান্সের দুটি ম্যাচ ছিল। কিন্তু সেই ম্যাচ দুটি খেলেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি তারকার অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে কোচ দিদিয়ের দেশম জানিয়েছিলেন, ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোচের ব্যাখ্যা সে সময় পছন্দ হয়নি সমর্থকদের। এবার নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোর জন্য ঘোষিত ফ্রান্স দলেও এমবাপ্পের অনুপস্থিতি বড় রহস্যের জন্ম দিয়েছে। সেই রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে নতুন গুঞ্জনে। শঙ্কা জেগেছে ফ্রান্সের হয়ে এমবাপ্পেকে আর খেলতে দেখা যাবে কি-না তা নিয়েও ।
নভেম্বরে উয়েফা নেশন্স লিগে ইসরাইল ও ইতালির বিপক্ষে খেলবে ফ্রান্স। এই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত দলে এমবাপ্পেকে রাখেননি ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। এই নিয়ে টানা চার ম্যাচে ফ্রান্সের স্কোয়াডে জায়গা হলো না রিয়াল মাদ্রিদ তারকার। অনেকেই মনে করছেন ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এমবাপ্পের পড়তি ফর্মের জন্যই তাকে দল থেকে বাদ দিয়েছেন দেশম। কিন্তু অনেকেই পাচ্ছেন ভিন্নকিছুর গন্ধ। বাতাসে গুঞ্জন, ফ্রান্সের কোচ দেশমের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে এমবাপ্পের।
সেই গুঞ্জন আরও উসকে দিয়েছেন ফরাসি সাংবাদিক রোমাইন মলিনা। তার দাবি, দেশমের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জের ধরে আর ফ্রান্সের জার্সি গায়ে চাপানোর ইচ্ছা নেই এমবাপ্পের। মলিনা কোচের সঙ্গে রিয়াল তারকার সম্পর্ককে ‘খিটখিটে’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। মলিনার কথার ইঙ্গিত মেলে দেশমের কথাতেও। এমবাপ্পেকে বাদ দেওয়ার কারণ না জানালেও ফ্রান্সকে ২০১৮ বিশ্বকাপ জেতানো এই কোচ জানিয়েছেন, সিদ্ধান্তটা একান্তই তার। নভেম্বরে দল ঘোষণার সঙ্গে এমবাপ্পের সঙ্গে যে তার কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে, তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। ইসরাইল ও ইতালির বিপক্ষে ম্যাচের জন্য দল ঘোষণার পর তিনি বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে আলোচনা করেছি। (তাকে না নেওয়ার) সিদ্ধান্তটি শুধু এই ব্লকের (মাসের) ম্যাচের জন্যই নিয়েছি। সে আসতে চেয়েছিল।’
এদিকে এমবাপ্পের মা এবং তার এজেন্ট ফাইজা লামারি তোপ দেগেছেন ফরাসি মিডিয়ার দিকে। তার দাবি, এমবাপ্পেকে এমনভাবে চিত্রায়িত করা হয় যেটা তার বিরুদ্ধে নেতিবাচকতা ছড়ায় এবং গণমাধ্যমের পরিবেশও তাকে সবসময় শত্রুভাবাপন্ন হিসেবে উপস্থাপন করে। তিনি বিষয়টিকে ‘আমরা বনাম বিশ্ব’ এভাবেই আখ্যা দেন। এসব কারণে এমবাপ্পের সম্মানহানি হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।।