এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৮ নভেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া-২ ব্লকের জগদানন্দপুর পঞ্চায়েত এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়েছে ৷ সুদেষ্ণা রায় নামে এক মহিলার নামে একটা বা দুটো নয়,আবাস যোজনায় পাঁচটি অনুদান এসেছে বলে জানা গেছে ৷ তার মধ্যে জগদানন্দপুর পঞ্চায়েত এলাকার মুস্থুলি গ্রামে ২ টি, আমডাঙ্গা গ্রামে ৩ টি এবং জগদানন্দপুর গ্রামে একটা অনুদান এসেছে । তবে মজার বিষয় হলো যে ওই নামের মহিলার আইডেন্টিটিফিকেশন নম্বর (আইডি) ও স্বামীর নামও আলাদা । মুস্থুলি গ্রামে মহিলার স্বামীর নাম রয়েছে যথাক্রমে নারায়ন মাঝি এবং শক্তিপদ খান । আমডাঙ্গা গ্রামের ৩ স্বামী হলেন বিশ্বনাথ দাস,গৌড়পদ মাঝি এবং মানিক দাস । সেখানে জগদানন্দপুর গ্রামে মহিলার স্বামীর নাম দেওয়া হয়েছে বাদল দাস । যদিও তিন গ্রামেই ওই নামের কোনো মহিলার কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি বলে খবর ।
স্বভাবতই, আবাস যোজনা প্রকল্পে এই প্রকার ব্যাপক বেনিয়মের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গেছে এলাকায় । বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক রানাপ্রতাপ গোস্বামী বলেন,’এটা তৃণমূলের টাকা লোটার নতুন ফন্দি । এতদিন ধরে তৃণমূলের লোকজন এভাবে ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে আবাস যোজনার অনুদানের টাকা তুলে নিয়েছে বলেই প্রকৃত উপভোক্তরা বঞ্চিত হয়েছেন । তৃণমূলের সংস্কৃতিই হল চুরি করে খাওয়া । ভুয়া নাম ঢুকিয়ে দিয়ে এই টাকা আত্মসাৎ করে নিয়ে খাওয়াই ওদের অভ্যাস ।’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের সাফাই হল, ‘সরকারি কর্মীরা হয়ত কোনো টেকনিক্যাল ভুল করেছে । এতে আমাদের দলের কোনো ভূমিকা নেই ।’
জানা গেছে,সম্প্রতি আবাস যোজনার অনুদান প্রাপকদের তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছিল । আর তখনই পঞ্চায়েত কর্মীদের নজরে পড়ে যে তালিকার ৩৮০, ৩৮১, ৩৮২,৩৮৩,৩৮৪ এবং ৩৮৫ নম্বরে রয়েছে “সুদেষ্ণা রায়” নামে এক মহিলার নাম । তবে পৃথক পৃথক আইডি রয়েছে৷ আর তিন গ্রাম মিলে ওই মহিলার ৫ জন স্বামীর নাম লেখা হয়েছে । তবে উল্লিখিত আইডি নম্বরগুলি সঠিক । কিন্তু আইডিগুলিতে নামসহ ভুল তথ্য দেওয়ায় তারা আপাতত আবাস যোজনার অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা ৷ বিষয়টি নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা শাসক আয়েষা রাণি ঘটনাটি ‘অফিসিয়ালি মিসটেক’ বলে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি আরও বলেছেন,’যোগ্য ব্যক্তিরা যাতে অনুদান পান সেই লক্ষ্যেই বর্তমানে সার্ভে চলছে ।’।