এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভোপাল,০৮ নভেম্বর : ভোপাল সেন্ট্রাল জেলের ভিতরে কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া) সন্ত্রাসীর এক সন্ত্রাসবাদী মহম্মদ শহিদের উপর হামলা চালিয়েছে রাজেশ নামে একজন বন্দী। ওই বন্দি সন্ত্রাসীর মাথায় নিজের হাতকড়া দিয়ে আঘাত করে । ঘটনাটি ঘটেছে ৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে । এরপর যথাযথ নিরাপত্তা ছাড়াই ওই সন্ত্রাসীকে চিকিৎসার জন্য হামিদিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় কারা প্রশাসন। যেকারণে জেলে অবহেলার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে । এই ঘটনায় গান্ধীনগর থানায় বন্দীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গত,২০২৩ সালের মে মাসে,এনআইএ এবং এটিএস একটি আইএসআইএস মডিউলে জড়িত থাকার জন্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে মোহাম্মদ শহীদ, সৈয়দ মামুর আলী এবং মোহাম্মদ আদিল খানকে গ্রেপ্তার করে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্থানীয় “দাওয়াহ” প্রচেষ্টার মাধ্যমে তরুণ মুসলমানদের উগ্রপন্থী করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছিল তারা । তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয় ।
ভোপাল সেন্ট্রাল জেলের সুপার রাকেশ ভাংরে জানিয়েছেন যে দুজনকে কারাগারের ভিতরে হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে কারণ তারা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। তিনি বলেছিলেন যে রাজেশ,একটি হত্যা মামলায় সাজা ভোগ করছেন, তার কারাগারের অভ্যন্তরে সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে। তিনি এর আগে দুই বন্দীকে আক্রমণ করেছিলেন যারা মারা গিয়েছিল, যেকারণে তাকে সবসময় হাত-পা হাতকড়া পরা থাকে। কেবল সকালে প্রাতঃকৃত্য সারতে যাওয়ার সময় সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। কারাগারের ভেতরে হাসপাতালে আনা হলে তাকে হাতকড়া পরানো হয় এবং সেখানে শহীদকে তার পাশে রাখা হয়।
দু’জনের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে তর্ক হয়েছিল যা ঝগড়ায় পরিণত হয়েছিল যার পরে রাজেশ হ্যান্ডকাফ দিয়ে শহিদকে আক্রমণ করে এবং মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। অন্যান্য রিপোর্ট অনুযায়ী , তিনি তার শৌচকর্মের সময় শাহিদকে লাঞ্ছিত করেন। আহত শহীদকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। কয়েক ঘণ্টার জন্য রাইফেলম্যানসহ মাত্র চারজন সৈন্যের ওপর ন্যস্ত ছিল তার নিরাপত্তা। পরে আরও কর্মী হাসপাতালে পৌঁছায় এবং তার চারপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। শহিদের মাথায় কোনো গুরুতর আঘাত লাগেনি এবং তার সিটি স্ক্যানও স্বাভাবিক বলে গান্ধী নগরের টিআই সুরেশ কুমার ফারকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।।