এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৮০ নভেম্বর : বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস কার্যত হিন্দু বিদ্বেষীর ভূমিকা পালন করতে শুরু করেছে । ইসকনের বিরুদ্ধে নোংরা ভাষা প্রয়োগ করে ফেসবুক পোস্টের প্রতিবাদ করায় চট্টগ্রামের হাজারী গলিতে মধ্যরাতে আটক হিন্দুদের ওপর বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশ নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে । বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ৮০ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে গণমামলা দায়ের করেছে। প্রায় ১২০ জন হিন্দু এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর । বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের নির্দেশে মেজর ফেরদৌস মহম্মদের নেতৃত্বে এই পাশবিক অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ উঠছে ।
এদিকে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অমানবিক অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার অনুরোধ করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশী হিন্দুদের উপর নৃশংসতা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে’ ।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলা । সেনাবাহিনী ও বিজিবি সৈন্যদের নিয়ে গঠিত একটি ‘যৌথ টাস্ক ফোর্স’ যার মধ্যে প্রাণঘাতী অস্ত্র রয়েছে, রাইফেলে সজ্জিত পুলিশের সাথে পুরো দাঙ্গার মুডে রয়েছে । ৫ ই নভেম্বর,২০২৪ তারিখে সন্ধ্যার পরপরই হাজারী গলি এবং চট্টগ্রামের অন্যান্য হিন্দু এলাকাগুলিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং হিন্দুদের নির্বিচারে ধরপাকড় শুরু করে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার, যারা প্রায়শই প্রতারণামূলকভাবে বলেছে যে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিপীড়ন সংক্রান্ত খবরগুলি প্রধানত অতিরঞ্জিত, গত মাসে চট্টগ্রামে একটি সমাবেশে সনাতানি সম্প্রদায়ের শক্তি প্রদর্শনের কারণে মোহাম্মদ ইউনূস ক্ষুব্ধ হয়ে গিয়েছিল,পশ্চিমা বিশ্বে তার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে ইউনূস বিব্রত । ৫ই নভেম্বর চট্টগ্রামে হিন্দুদের উপর হামলা এবং তারপর থেকে মোহাম্মদ ইউনুস হিন্দুদের একটি শিক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা তার প্রশাসনের একটি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।’
তিনি লিখেছেন,’জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স হিন্দু মালিকানাধীন দোকান এবং বাড়ি থেকে সোনার গয়না লুট করার আগে এবং হিন্দুদের মালিকানাধীন সম্পত্তি ভাংচুর করার আগে কোনও ধরনের রেকর্ডিং এড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। ২০০ টিরও বেশি হিন্দু পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।’ তিনি বলেন,’বাংলাদেশী হিন্দুদের উপর নৃশংসতা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে নতুন প্রশাসন নাৎসি শাসনের অনুকরণ করতে চায়। এখন সময় এসেছে সারা বিশ্বের হিন্দুদের এমন বর্বর শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, যারা প্রতিদিন সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। উদ্বিগ্ন প্রতিবেশী হিসেবে আমরা অবশ্যই আমাদের বাংলাদেশের বোন ও ভাইদের জন্য আমাদের আওয়াজ তুলব।’
শুভেন্দু অধিকারী ক্ষতবিক্ষত হিন্দুদের একটা ভিডিও শেয়ার করে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন,’আমি মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর জিকেঅনুরোধ করতে চাই; দয়া করে ঘটনাটি নোট করার জন্য এবং তাকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করুন যা বাংলাদেশের নির্যাতিত হিন্দু সম্প্রদায়কে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের অবস্থা দেখুন ।’।