এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),১৫ জুলাই : ভালোবেসে বিয়ে করেন যুবক-যুবতী । কিন্তু বিয়ের তিন মাসের মাথায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় অশান্তি । আর তার জেরেই বাপের বাড়ি চলে আসেন স্ত্রী । ফলে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায় দু’জনের । এরই মধ্যে বছর বাইশের ওই যুবতী দ্বিতীয় বিয়ে সেরে ফেলেন । বৃহস্পতিবার সেই খবর কানে যেতেই যুবতীর বর্তমান শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসলেন প্রাক্তন স্বামী । এদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ধর্ণা প্রদর্শন । শেষে যুবতীর অনমনীয় মনভাব দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা অনির্বাণ বিশ্বাস নামে বছর সাতাশের ওই যুবককে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন । ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ।
জানা গেছে, অনির্বাণ বিশ্বাস নামে ওই যুবকের বাড়ি মঙ্গলকোট থানার সারঙ্গপুর গ্রামে । ভাতার থানার রায়রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা সঙ্গীতা ঘোষের সঙ্গে বছর দুয়েক আগে প্রেম বিবাহ করেন অনির্বান । কিন্তু মাত্র তিনমাস সংসার করার পরেই শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি । তার জেরে বাপের বাড়ি চলে আসেন সঙ্গীতা । তখন থেকে তিনি বাপেরবাড়িতেই ছিলেন । এর মধ্যে তিনি অনির্বাণের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করেন । পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন অনির্বাণও । সেই থেকে দু’জনের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায় । এমনকি তাঁদের মধ্যে ফোনেও বিশেষ কথাবার্তা হত না বলে পরিবার সুত্রে জানা গেছে ।
জানা গেছে,এই পরিস্থিতি দেখে সঙ্গীতা ঘোষের বাড়ির লোকজন গুসকরা শহরের শান্তিপুরের বাসিন্দা দীপক মণ্ডল(৩২) নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিয়ে দেন । বুধবার ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান । এদিন এই খবর জানতে পারেন অনির্বাণ বিশ্বাস । আর এই বিয়ে মেনে নিতে না পেরে সোজা গুসকরায় সঙ্গীতা ঘোষের বর্তমান শ্বশুরবাড়ির সামনে চলে আসেন অনির্বাণ । তারপর নিজের হাতে লেখা একটি পোস্টার হাতে নিয়ে তিনি ধর্ণায় বসে পড়েন ।
ওই পোস্টারে লেখা ছিল, ‘সঙ্গীতা আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি । তুমি আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কেন অন্য ছেলের সাথে চলে এলে । তুমি ফিরে এস।’
জানা গেছে,অনির্বাণকে দেখে ইতিমধ্যে বেশ কিছু স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে যায় । তাঁরা ওই যুবককে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বলে । কিন্তু তাতে কোনও কাজ না হওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গীতার মতামত নেয় । সঙ্গীতা তখন সাফ জানিয়ে দেন, তিনি অনির্বাণের মুখ দেখতে চান না । অতীতের অত্যাচার ভুলে তিনি দীপকের সঙ্গেই সংসার করতে চান । এরপর স্থানীয় লোকজন অনির্বাণকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ।।