এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,০৩ অক্টোবর : বাবা সিদ্দিকীর মতো উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহারাষ্ট্রের এক ২৪ বছর বয়সী এক মহিলার বিরুদ্ধে। ওই মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে হত্যার হুমকি বার্তা পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত মহিলাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্ত মহিলার নাম ফাতিমা খান (২৪) । ফাতিমা তার পরিবারের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার উলহাসনগর এলাকায় থাকে । ফাতেমার বাবার কাঠের ব্যবসা আছে। অভিযুক্ত ফাতেমা তথ্যপ্রযুক্তিতে স্নাতক । যথারীতি ধৃত মহিলার পরিবার দাবি করেছে যে ফাতেমা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন । পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ।
জানা গেছে,মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপে একটি অচেনা নম্বর থেকে শনিবার (২ নভেম্বর) একটি হুমকি বার্তা আসে। হুমকি দেওয়া হয়েছিল যে যোগী আদিত্যনাথ যদি ১০ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা না দেন তবে তাকে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেতা বাবা সিদ্দিকীর মতো হত্যা করা হবে। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীকে গত ১২ অক্টোবর মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় ।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে প্রাণে মারার হুমকি বার্তা পাওয়ার পর একটি মামলা নথিভুক্ত করে মুম্বাই অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালায় । পুলিশ তদন্তে জানতে পারে যে ফাতিমাই এই মেসেজ পাঠিয়েছিল । এর পরেই উলহাসনগর পুলিশ সহ এটিএস ফতিমার বাড়িতে পৌঁছায়। সেখানে ফাতেমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তারপর তাকে স্থানীয় থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ফাতেমার তথ্যপ্রযুক্তিতে স্নাতক ডিগ্রি থাকলেও তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করা হয়েছে তার বাবার তরফে । যদিও ধৃত জিহাদি তরুনীর বাবার এই দাবি নিয়ে সন্দেহ দাঁনা বাঁধছে । জীতেন্দ্র প্রসাদ সিং নামে এক ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়া, ‘মুম্বাইয়ের ফাতিমা খান(২৪) একজন বিএসসি আইটি, পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে যোগী জিকে পদত্যাগ না করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মুম্বাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে তার বাবা বলেছিলেন যে তার মেয়ের মাথা স্থির নয় । আরে, ধূর্ত মানুষ, আপনার সন্ত্রাসী মেয়েটি বিএসসি পড়েছে, সে যদি পাগল হয় তাহলে সে কোন মুসলিম নেতাকে হুমকি দিল না কেন ? এর অর্থ, তারা পাগল হয়ে গেলেও কাকে হুমকি দিতে হবে সেটা সে তা জানে।এখন ইউপি পুলিশের উচিত ফাতেমা খানকে ইউপিতে নিয়ে আসা এবং তার যথাযথ খাতির করা। যাতে আর কোনো ফাতেমা এ ধরনের কাজ না করে। এবং মনে রাখবেন, যোগীজির কিছু হলে তার পরিণতি খুব খারাপ হবে ।’
পুলিশ জানিয়েছে,বিষয়টির তদন্ত চলছে। ফাতেমার মানসিক চেকআপও করা হবে। মুম্বাই পুলিশের এক আধিকারিক বলেছিলেন যে যোগী আদিত্যনাথ মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার করতে মহারাষ্ট্রে আসতে পারেন তাই পুলিশ সতর্ক রয়েছে।।