এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৩ নভেম্বর : কলকাতার নারকেলডাঙায় কালীপ্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় হামলার অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তাঁর অভিযোগ বিসর্জনের শোভাযাত্রার উপর ব্যাপক ইঁটপাটকেল ছোড়া হয়েছিল । পুলিশ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ কারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে । তিনি সিআরপিএফ মোতায়েনের জন্য পুলিশকে পরামর্শও দিয়েছিলেন । তার ঠিক কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে কলকাতা বন্দরের কেএমসি ৮০ ওয়ার্ডের একটা কালীপূজা মণ্ডপে হামলার অভিযোগ উঠেছে । বিজেপি নেতা অমিত মালব্য কয়েকটা ভিডিও এক্স-এ শেয়ার করে এমনই দাবি করেছেন । অমিত মালব্যর শেয়ার করা ভিডিওতে প্রচুর ভাঙচুর করা অটো এবং টালির চালের ঘর দেখা হয়ে । ভাঙচুর করা হয়েছে একটা চারচাকা গাড়িতেও । অমিত মালব্যর অভিযোগ, রাজ্যে একের পর এক পূজো মণ্ডপে হামলার ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তোষামোদি রাজনীতির কারনে ঘটছে । তিনি আরও বলেছেন যে মমতা ব্যানার্জি না সরলে ফের একটা ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে’ দেখতে হবে,আর হিন্দুদের বাঁচানোর জন্য গোপাল পাঁঠাও নেই ।
অমিত মালব্য এক্স-এ লিখেছেন,’এখন হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গে কালী পূজাও উদযাপন করতে পারে না। এটি হল কলকাতা বন্দরের কেএমসি ৮০ ওয়ার্ডের বর্তমান অবস্থা, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের আস্তানা, যিনি গর্বের সাথে এই এলাকাটিকে “মিনি পাকিস্তান” হিসাবে উল্লেখ করেছেন এবং সম্প্রতি তিনি সকলকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন । লেক টাউন, ফাঁসিদেওয়া, দক্ষিণদারি, উস্তি এবং রাজাবাজার-নারকেলডাঙ্গার পর, কলকাতা থেকে হিন্দুদের ওপর আরেকটি হামলার খবর পাওয়া গেছে।’ তাঁর অভিযোগ, ‘কলকাতার গার্ডেনরিচ ৮০ নম্বর ওয়ার্ডের সিক লাইন এলাকায় হিন্দুদের উপর নির্দয়ভাবে হামলা করা হয়েছে, সম্পত্তি ভাংচুর করা হয়েছে। আনোয়ার খান স্থানীয় কাউন্সিলর এবং ফিরহাদ হাকিম বিধায়ক। গভীর রাতে ওই এলাকার মন্দির ও প্যান্ডেলে হামলা চালায় একদল জনতা।’
অমিত মালব্যর কথায়,’পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অংশের মতো কলকাতাও একটি টিন্ডার বাক্সে পরিণত হয়েছে। জোরপূর্বক জনসংখ্যার পরিবর্তন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্লজ্জ তোষামোদ অনেক দূরে চলে গেছে। তিনি আর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেই। যদি তিনি সরে না যান বা ভোটে পরাজিত করা হয়, তাহলে শীঘ্রই আমরা ফের একটা ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে দেখব । কিন্তু গোপাল পাঁঠা নামে প্রখ্যাত গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায় আর নেই যে হিন্দুদের বাঁচাবে । কলকাতা জাগো!’
যদিও পশ্চিম বন্দর এলাকায় কোনও কালীপুজো মণ্ডপে হামলা বা ভাঙচুর চালানো হয়নি বলে দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের দাবি,এক নাবালিকার যৌন হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। পাথরবাজি ও ভাঙচুর চালানো হয় । কিন্তু তাঁদের কাউকে কোনও কালীপুজো মণ্ডপের কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি । তবে পুলিশ যাই দাবি করুক না কেন অমিত মালব্যর শেয়ার করে এক হিন্দিভাষী ব্যক্তিকে বলতে শোনা গেছে, ‘এখন রাত্রি ২ টো বাজে । কিছু লোক এসেছিল । প্যান্ডেল ভেঙে দিয়েছে । সব লাইট ভেঙে দিয়ে গেছে । দেখুন….।’।