প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৩ নভেম্বর : ভাই ফোঁটার মিষ্টিতে স্থান করে নিলেন সদ্য প্রয়াত দেশ বরেণ্য শিল্পোদ্যোগী রতন টাটা।তাঁরই মূর্তির আদলে বিশেষ মিষ্টান্ন তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী।ক্ষীর ও সন্দেশ দিয়ে তৈরি সেই মিষ্টি রবিবার ভাইফোঁটার দিন ক্রেতার হাতে তুলে দেবেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী অনির্বান দাস ও অরিন্দম দাস।তার আগে রতন টাটার মুখবয়বের আদলে তৈরি মিষ্টিটি একবার স্বচোক্ষে দেখতে শনিবার বহু মানুষ ভিড় জমান দাসেদের মিষ্টির দোকানে ।
সীতাভোগ ,মিহিদা ও ল্যাংচা,এই তিনটি হল পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন।সেই রাজ আমল থেকে শুরু করে আজও এই তিন মিষ্টির প্রসিদ্ধি ও কদর বিন্দুমাত্র কমে নি।বরং ’জি-আই’ স্বীকৃতি প্রাপ্তির পর এই তিন মিষ্টির প্রসিদ্ধি আরও বেড়েছে।আর প্রসিদ্ধির সেই ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন সময়ে হরেক রকম মিষ্টি তৈরি করে তাক লাগান জেলার মিষ্টান্ন কারবারীরা ।সেই তালিকার এবার যুক্তহল পদ্মবিভূষণ সন্মাননায় ভূষিত শিল্পোদ্যোগী রতন টাটার মুখবয়বের আদলে তেরি ক্ষীরের মিষ্টি।
কালনা শহরের ছোট দেউড়ি বাজারে রয়েছে ব্যবসায়ী অনির্বান দাস ও অরিন্দম দাসের মিষ্টির দোকান। ভাইফোঁটা উপলক্ষে হরেক রকম মিষ্টান্ন তৈরি করেছেন এই মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ এই দিনে বোনেরা যাতে ভাইয়েদের মুখে নত্যনতুন স্বাদের মিষ্টি তুলেদিতে পারেন তার জন্য তিনশো রকমের মিষ্টি তৈরি করেছেন দাসেদের মিষ্টির দোকানের কারিগররা।বোনেদের সাধ পূরণের জন্য তাঁদের সাধ্যের মধ্যেই রাখা হয়েছে সেই সব মিষ্টির দাম।তার মধ্যে সেরার সেরা মিষ্টি হিসাবে মাইলেজ কুড়িয়েছে ক্ষীর দিয়ে তৈরি রতন টাটার মূর্তি ।
ভাইফোঁটায় মিষ্টিতে রতন টাটাকে তুলে ধরার কারণ প্রসঙ্গে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী অনির্বান দাস ও অরিন্দম দাস বলেন,’রতন টাটার ব্যবসায়ীক ভাবনা ও পথ চলাকে আমরা অনুসরণ করি। তাঁর আদর্শে আমদের উদ্বুদ্ধ করে। তাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই আমরা ভাইফোঁটা স্পেশাল হিসাবে মিষ্টি হিসাবে ক্ষীর ও সন্দেশ দিয়ে সদ্য প্রয়াত রতন টাটার মূর্তি তৈরি করেছি ।’ মূর্তিটি তৈরি করতে দেড় কেজি ক্ষীর এবং তার সঙ্গে সন্দেশও লেগেছে বলে অনির্বান দাস ও অরিন্দম দাস জানান। তাঁরা এও জানান,রতন টাটার মূর্তির মিষ্টিটি একজন খরিদ্দারের দেওয়া বরাত অনুযায়ী তাঁরা একটাই তৈরি করেছেন। মিষ্টিটির দাম রাখা হয়েছে ৫০০ টাকা । ভ্রাতৃ দ্বিতীয়ার দিন মিষ্টিটি ওই খরিদ্দার নিজের বাড়িতে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়ে গিয়েছেন । অনির্বান দাস ও অরিন্দম দাসের কথা অনুযায়ীয়,রতন টাটার মূর্তি মিষ্টি তাঁদের দোকানের প্রসিদ্ধি একধাপে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে ।।