এইদিন ওয়েবডেস্ক,জম্মু-কাশ্মীর,০২ নভেম্বর : ফের জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে । এবারে বুদগামের মাঝামা গ্রামে জল জীবন মিশনের কাজ করতে যাওয়া দুই পরিযায়ী শ্রমিকের উপর শুক্রবার গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা । আহতদের নাম সুফিয়ান ও উসমান। তারা উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা । একজনের হাতে এবং অন্যজনের পেটে গুলি লেগেছে । আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যেখানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। হামলাকারীদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে । পাশাপাশি বান্দীপুরায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের কাছে সন্ত্রাসীদের দ্বারা গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে । বর্তমানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী৷
জম্মু ও কাশ্মীরে অ-কাশ্মীরিদের উপর এটি প্রথম হামলার ঘটনা নয়, এর আগেও সন্ত্রাসীরা গান্দেরবাল এবং ত্রালে অ-কাশ্মীরিদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল। গত ১৫ দিনে এটি ষষ্ঠ সন্ত্রাসী হামলা। গত ১৭ অক্টোবর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ওমর আবদুল্লাহ শপথ নেওয়ার পর থেকে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে । আবদুল্লাহ শপথ নেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ১৮ অক্টোবর, সন্ত্রাসীরা শোপিয়ানে এক কাশ্মীরি যুবককে গুলি করে হত্যা করেছিল। এই ঘটনার দুদিন পর ২০ অক্টোবর সোনমার্গে সন্ত্রাসী হামলায় একজন চিকিৎসক, একজন প্রকৌশলী এবং ৫ জন শ্রমিক নিহত হন। তার ৪ দিন পরে,২৪ অক্টোবর, সন্ত্রাসীরা বারামুল্লার এলওসি-র কাছে একটি সেনা গাড়িতে হামলা চালায়, যাতে ৩ জন সৈন্য শহীদ হয়, ২ পোর্টারও মারা যায়। পরের দিন,২৫ অক্টোবর দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালে উত্তরপ্রদেশের এক শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এর পরে, ২৮ অক্টোবর, আখনুরের ভাট্টলে এলওসির কাছে সন্ত্রাসীরা একটি সেনা অ্যাম্বুলেন্সে গুলি চালায়,পাল্টা জবাবে সেনাবাহিনী ৩ সন্ত্রাসবাদীকে খতম করে। পয়লা নভেম্বর, সন্ত্রাসীরা আবার অ-কাশ্মীরিদের টার্গেট করে।
প্রসঙ্গত,জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনের পর ন্যাশনাল কনফারেন্স জয়ী হয় এবং ওমর আবদুল্লাহ জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। নতুন সরকার আসার পর আবারও উপত্যকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীরা এবং সন্ত্রাসী হামলার মাত্রা বেড়েছে। সন্ত্রাসীরা কখনও সেনাবাহিনীকে, কখনও অভিবাসী শ্রমিকদের নিশানা করছে ।।